আইপিএলের জন্য রেজিস্ট্রেশন করছেন। অনেক আশা নিয়ে তাঁকে কোনও দল কিনছেও। বিশাল অঙ্কে দলে নেওয়া হচ্ছে। কখনও বা সংশ্লিষ্ট প্লেয়ার তাঁর প্রত্যাশা অনুযায়ী দর পাচ্ছেন না। হঠাৎই হয়তো নাম তুলে নিলেন। আবার কখনও চোটের বাহানায় খেলছেন না! আইপিএলে এমন ঘটনা নতুন নয়। বিদেশি ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এমনটা অনেক সময়ই দেখা যায়। মনমতো দর না পাওয়ার কারণেই কি চোটের বাহানায় নাম তুলে নেন অনেক ক্রিকেটার? ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গার ক্ষেত্রে কি গত মরসুমে এমনটাই হয়েছিল? সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শীর্ষকর্তা কাব্যা মারানের ইঙ্গিত তেমনই। এরকম প্লেয়ারদের জন্য কড়া শাস্তি চাইছেন কাব্যা।
আইপিএলের আগামী মরসুমের নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তাদের সঙ্গে মিটিং করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেখানেই নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী আইপিএলে মেগা অকশন। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির তরফে বোর্ডকে নানা পরামর্শ, অনুরোধ করা হয়েছে। বোর্ডের গভর্নিং কাউন্সিল মিটিংয়ে তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। কাব্যা মারান প্লেয়ারদের কড়া শাস্তির বিষয়টি তুলে ধরেছেন বলেই খবর।
গত বারের আইপিএলে শ্রীলঙ্কার লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গাকে রিটেন করেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তাঁকে নিলামে নিয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ১.৫ কোটি টাকায় তাঁকে নেয় সানরাইজার্স। যদিও চোচের কারণে ছিটকে যান। অনেকেই মনে করেছিলেন, চোট নয়, আসলে টাকার অঙ্কটা পছন্দ না হওয়াতেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন হাসারঙ্গা। সানরাইজার্স হায়দরদাবাদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক কাব্যা মারান একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘অকশনে দল পাওয়ার পরও কোনও প্লেয়ার যদি খেলতে না আসেন, চোট ছাড়া অন্য কোনও কারণে সরে দাঁড়ান, তাঁকে নির্বাসিত করা উচিত।’
কাব্যা অবশ্য কারও নাম উল্লেখ করেননি। তাঁর ইঙ্গিত যে ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা, এমনটা অনুমান করাই যায়। কাব্য়া আরও বলেন, ‘একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি নানা পরিকল্পনা করেই প্লেয়ার বাছাই করে। কম্বিনেশনের পরিকল্পনা থাকে। কোনও প্লেয়ারকে কম টাকায় পাওয়া সব সময় হয় না। সেটাতে সেই ফ্র্যাঞ্চাইজির হাত নেই। তবে সেই প্লেয়ারকে নেওয়ার পরও খেলতে না এলে কম্বিনেশনে অনেক সমস্যা হয়। দলের ভারসাম্যা নষ্ট হয়।’