অস্ট্রেলিয়া ৩৭৪-৬
ভারত ৩০৮-৮
TV9 বাংলা ডিজিটাল : দিন কয়েক আগেই বলেছেন, নেটে নিজেকে স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত যে তখনই পেয়েছিলেন, ওয়ান ডে সিরিজের (India vs Australia) প্রথম ম্যাচই তার প্রমাণ। তিন নম্বরে নেমে ৬৬ বলে টি-টোয়েন্টি ধাঁচের মারকুটে ১০৫ করলেন স্টিভ স্মিথ।
?? Congratulations to Australia who have won the first ODI by 66 runs to take a 1-0 series lead against India.
That’s ? points in the @cricketworldcup Super League standings and takes them level on points with England at the top! #AUSvIND pic.twitter.com/qs1WNxqN9s
— ICC (@ICC) November 27, 2020
একা স্মিথে রক্ষে নেই, দোসর অ্যারন ফিঞ্চ। ওপেন করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপ্টেন নিজেই করে গেলেন ১১৪। সেই সঙ্গে ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার করেছেন ৬৯। শেষ দিকে আবার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১৯ বলে ৪৫। এর পর যা হতে পারত, তাই হয়েছে। ৩৭৪ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে অজিরা। যে লক্ষ্যের সামনে শুরু থেকেই নড়বড়ে দেখাল বিরাট কোহলির ভারতকে। প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় রীতিমতো ভরাডুবি। সিডনিতে রান তাড়া করতে নেমে ৩০৮-৮ থামল ভারতীয় টিম। এই ভদ্রস্থ স্কোরও তুলতে পারত না, যদি না হার্দিক পান্ডিয়া ৭৬ বলে ৯০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলতেন। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছিলেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ৮৬ বলে ৭৪ করে ফেরেন তিনি।
আইপিএলে ব্যাটে একেবারে রান ছিল না স্মিথের। যে কারণে সাফল্য পায়নি রাজস্থান। রান পাননি অ্যারন ফিঞ্চও। আইপিএলের ব্যর্থতা ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই মুছে দিলেন দু’জন। শুরুটা অবশ্য করেছিলেন ফিঞ্চ-ওয়ার্নার। দু’জন মিলে ওপেনিং জুটিতে তোলেন ১৫৬ রান। সামি ফেরান ওয়ার্নারকে। ফিঞ্চের সঙ্গে এর পর ১০০ রানের পার্টনারশিপ হয় স্মিথের। বুমরা ফেরান ফিঞ্চকে।
ভারতীয় টিমের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচেই হারের কারণ শুধু ব্যাটিং ব্যর্থতা নয়। বোলাররাও থামাতে পারেননি স্মিথ-ফিঞ্চদের। যে বুমরাকে নিয়ে দেখা হচ্ছিল দারুণ স্বপ্ন, তিনি ১০ ওভারে দিয়েছেন ৭৩ রান। ঝুলিতে ১টি উইকেট। নভদীপ সাইনি ও যুজবেন্দ্র চাহল দিয়েছেন যথাক্রমে ৮৩ ও ৮৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। একমাত্র সফল সামি। ১০ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১০ ওভারে ৬৩ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি রবীন্দ্র জাডেজা।
৩৭৪-৬ তাড়া করে জিততে হলে ভারতের দরকার ছিল দারুণ শুরু। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ১৮ বলে ২২ করে ফিরে যান জোস হ্যাজেলউডের বলে। এর পর কার্যত কেউ দাঁড়াতেই পারেননি। ১০১ রানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি ২১ করে আউট। শ্রেয়স আয়ার (২) ও লোকেশ রাহুলও (১২) দাঁড়াতে পারেননি।
ওই সময় মনে হচ্ছিল ২০০-ও বোধহয় পার করতে পারবে না ভারতীয় টিম। শিখর-হার্দিক জুটির জন্য শেষ পর্যন্ত ৩০০ পার করতে পেরেছে ভারত। আইপিএলের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই ফর্মে ছিলেন শিখর। আমিরশাহির আইপিএলে করেছেন দুটো সেঞ্চুরিও। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে সেই ঝলক ছিল। ৮৬ বল খেলে ১০ চার দিয়ে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। অ্যাডাম জাম্পার বলে স্টার্কের হাতে ধরা না পড়লে হয়তো সেঞ্চুরিও করে ফেলতেন।
অজি শিবিরে পাল্টা লড়াইটা অবশ্য পৌঁছে দিয়েছিলেন হার্দিকই। ৭৬ বলে করা বিস্ফোরক ৯০ রানের ইনিংসটা একটা সময় বেশ চাপেই ফেলে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের। ৭টা চার ও ৪টে ছয় দিয়ে সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। শিখরের মতো ভয়ঙ্কর হার্দিককে ফেরত পাঠান জাম্পা।
Adam Zampa is turning the screw – he’s now removed the dangerous Hardik Pandya for 90 ☝️ #AUSvIND pic.twitter.com/69Uumipxhc
— ICC (@ICC) November 27, 2020
সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে পরের ম্যাচটা জিততেই হবে ভারতকে। না হলে কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সফরের শুরু থেকেই চাপে পড়ে যাবে বিরাটের টিম। এটা বিরাটের থেকে ভালো আর কে জানেন!
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ৩৭৪-৬ (ফিঞ্চ ১১৪, স্মিথ ১০৫, ওয়ার্নার ৬৯, সামি ৩-৫৯, বুমরা ১-৭৩, সাইনি ১-৮৩)।
ভারত ৩০৮-৮ (হার্দিক ৯০, শিখর ৭৪, সাইনি নট আউট ২৯, জাম্পা ৪-৫৪, হ্যাজেলউড ৩-৫৫)।