সরকারি ভাবে এখনও ভারতীয় দলের হেড কোচের নাম ঘোষণা হয়নি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অবধি রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই হেড কোচ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারা আবেদন করেছেন, সেই তথ্যও সামনে আনেনি বোর্ড। তার একটাই কারণ, চলতি বিশ্বকাপে যাতে টিমের উপর এর প্রভাব না পড়ে। রাহুল দ্রাবিড় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি পুনরায় আবেদন করেননি। দ্রাবিড় যে থাকছেন না তা নিশ্চিত। এখনও অবধি যা খবর তাতে, ভারতীয় দলের পরবর্তী হেড কোচের দৌড়ে কার্যত নিশ্চিত গৌতম গম্ভীর।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন গৌতম গম্ভীর। দু-বারই প্লে-অফে জায়গা করে নিয়েছিল লখনউ। দেশের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা এই ওপেনার গত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সে মেন্টর হিসেবে ফেরেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০১২ ও ২০১৪ সালে আইপিএল জিতেছিল। গম্ভীরের নেতৃত্বেই দুটি ট্রফি এসেছিল। এক দশক পর কেকেআরে নতুন ভূমিকাতে ফিরতেই তৃতীয় ট্রফি জেতে কলকাতা। এরপর থেকেই ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে তাঁর নাম ভাসছে। গম্ভীর নিজেও তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আইপিএল ফাইনালে গম্ভীরের সঙ্গে বোর্ড সচিব জয় শাহ দীর্ঘ সময় আলোচনাও করেন।
মনে করা হচ্ছে, বিশ্বকাপের পরই সরকারি ভাবে কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের নাম ঘোষণা করবে বোর্ড। ইতিমধ্যেই সাপোর্ট স্টাফ বাছাইও ঠিক করে দিয়েছেন গম্ভীর। সূত্রের খবর এমনটাই। দ্রাবিড় কোচ হওয়ার পর ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন টি দিলীপ। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে দ্রাবিড়ের সঙ্গে কাজ করেছিলেন দিলীপ। গম্ভীর এলে যে নিজের পছন্দমতোই সাপোর্ট স্টাফ বেছে নেবেন, সেটাই প্রত্যাশিত। ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে ভাসছে বড় নাম। বিশ্বের সেরা, কিংবদন্তি ফিল্ডার জন্টি রোডসকে দেখা যেতে পারে ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে।
লখনউ সুপার জায়ান্টসে মেন্টরের দায়িত্ব নেওয়ার পর টিমের ফিল্ডিং কোচ হিসেবে জন্টি রোডসকেই বেছে নিয়েছিলেন গম্ভীর। জন্টির ফিটনেস এখনও তরুণ ক্রিকেটারদের চমকে দেয়। গম্ভীরের সঙ্গে রোডসের সেই কেমিস্ট্রি ভারতীয় দলেও দেখা যেতে পারে।