LSG vs MI : ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা? রোহিত শর্মা জানালেন…
Lucknow Super Giants vs Mumbai Indians Post Match : এরপরও কি প্লে-অফের সুযোগ রয়েছে? রোহিতের সোজা-সাপ্টা জবাব, ‘আমি হিসেবটা জানি না। পরের ম্যাচটায় ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং জিততেই হবে, এটুকু বলতে পারি।’
দীপঙ্কর ঘোষাল : রোহিতের নিজের আউট নাকি স্কাইয়ের উইকেট! শেষ ওভারে দুই বিধ্বংসী ব্যাটার থাকা সত্ত্বেও ১১ রান তুলতে না পারা। মার্কাস স্টইনিসকে সামলাতে না পারা। লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে হারের পর মুম্বই শিবিরকে নিয়ে এমন নানা প্রশ্নই উঠছে। এখন সব ম্যাচই নকআউট। লখনউয়ের কাছে মাত্র ৫ রানে হার। প্লে-অফের রাস্তা নিজেরাই যেন জটিল করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। কারণ হাতরে বেড়াচ্ছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। গত মরসুমের পর এ বারের আইপিএল। সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের ফর্মও আতসকাচে। লখনউয়ের বিরুদ্ধে জিতলে প্লে-অফের দৌড়ে অনেকটাই সুরক্ষিত থাকত মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এখন শেষ ম্যাচে নিজেরা জিতলেও অন্য দলের রেজাল্টের ওপরও নির্ভর করতে হবে। লখনউয়ের কাছে হারের পর কী বলছেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা? ম্যাচের সেরা মার্কাস স্টইনিসই বা কী বলছেন! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা। হারের কারণই বা কী! হেসে ফেললেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত। বলছেন, ‘আমরা ম্যাচটা হেরেছি। আর কী বলব। জেতার মতো খেলতে পারিনি। ম্যাচে বেশ কিছু মহূর্ত ছিল, যে জায়গাগুলো আমরা জিততে পারিনি। দুঃখজনক হলেও হাল ছাড়া যাবে না।’ রান তাড়ায় মুম্বইয়ের দারুণ শুরুর পরও ম্যাচের ফল এমনটা হবে, কেউই হয়তো প্রত্যাশা করেননি। রোহিতও বলছেন, ‘পিচটা খুব ভালো বুঝেছিলাম। এখানের অন্য পিচগুলোর মতো নয়। ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো ছিল। ব্যাটিংয়ে আমাদের শুরুটা ভালো হলেও পরের দিকে খেই হারিয়েছি। পাশাপাশি বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও শেষ দিকে আমরা প্রচুর রান দিয়েছি। বিশেষ করে শেষ তিন ওভারে। তবে রান তাড়ায় আমাদের শুরুটা যেমন হয়েছিল, দারুণ জায়গায় ছিলাম।’ এরপরও কি প্লে-অফের সুযোগ রয়েছে? রোহিতের সোজা-সাপ্টা জবাব, ‘আমি হিসেবটা জানি না। পরের ম্যাচটায় ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং জিততেই হবে, এটুকু বলতে পারি।’
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে ছিল লখনউ। মার্কাস স্টইনিস ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দেন দলকে। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও জিতলেন তিনিই। শেষ ওভারে মহসিন খান স্নায়ুর চাপ সামলে অনবদ্য বোলিং করেন। স্টইনিসও সাবাশি দিচ্ছেন মহসিনকে। ম্যাচের সেরা স্টইনিস বলেন, ‘মহসিনের জন্য দারুণ মুহূর্ত। গত বারের আইপিএল থেকে চোট সমস্যা ছিল। সেখান থেকে এই ফাইনাল ওভারে এমন বোলিং। খুবই ক্লোজ ম্যাচ হয়েছে। মাঝে স্পিনারদের পারফরম্যান্স এবং শেষ ওভারে মহসিন ম্যাচ জিততে সাহায্য করেছে।’