AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

শহরে পৌঁছেই বাবার কবরে প্রার্থনা সিরাজের

বিমানবন্দর থেকেই সোজা বাবার কবরখানার সামনে গেলেন মহম্মদ সিরাজ।

শহরে পৌঁছেই বাবার কবরে প্রার্থনা সিরাজের
শহরে পৌঁছেই বাবার কবরে প্রার্থনা সিরাজের
| Updated on: Jan 21, 2021 | 3:35 PM
Share

হায়দরাবাদ: তাঁর বাবার ইচ্ছে ছিল দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলুন ছেলে। সেই ইচ্ছেপূরণের জন্য বাবা মারা যাওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরেননি মহম্মদ সিরাজ। ব্রিসবেনে পাঁচ উইকেট পাওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তরুণ পেসার। সেই সিরাজ হায়দরাবাদে পা রেখেই সোজা গেলেন খিরতাবাদের কবরখানায়, যেখানে চিরঘুমে শুয়ে আছেন তাঁর বাবা মহম্মদ গউস।

আরও পড়ুন: ‘চুমু দিলে ব্যথা সেরে যাবে’, পূজারাকে মেয়ে অদিতি

বৃহস্পতিবার সকালেই ভারতীয় ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়া থেকে টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছেন। দিল্লি হয়ে শামসাবাদের বিমানবন্দরে সিরাজ নামার পর তাঁকে নিতে আসেন পরিবারের কিছু সদস্য ও ঘনিষ্ঠ কয়েক জন বন্ধু। তাঁদের সঙ্গেই সরাসরি খিরতাবাদ চলে যান।

২০ নভেম্বর মারা গিয়েছেন ৫৩ বছরের গউস। ৬৩ দিন পর দেশে ফিরলেন সিরাজ। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দারুণ সাফল্যের পর সিরাজ বলেছিলেন, ‘বাবা নেই হয়তো, কিন্তু সব সবয় ওঁর উপস্থিতি বুঝতে পারি।’ বাবার কবরখানায় দীর্ঘক্ষণ প্রার্থনা করেছেন সিরাজ, তাঁর আত্মার শান্তির জন্য। সিরাজের সঙ্গে যাওয়া বন্ধু মহম্মদ সফি বলেছেন, ‘সকাল ন’টা নাগাদ বিমানবন্দের পৌঁছেছিল সিরাজ। সেখান থেকে সরাসরি আমরা কবরখানায় চলে যাই। ওর বাবা যদি বেঁচে থাকতেন, সিরাজের সাফল্য দেখে খুব খুশি হতেন। সিরাজও বাড়ি ফিরে বাবাকে জড়িয়ে ধরতে পারলে খুশি হত। দুটোই সম্ভব হল না।’

বাবার কবরখানায় দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন সিরাজ। ফুল দিয়েছেন, প্রার্থনা করেছেন। তার পর সেখান থেকে টোলি চৌকির আল-হাসনাথ কলোনিতে নিজের বাড়িতে গিয়েছেন। সিরাজের বাড়ি সামনে সকাল থেকেই প্রচুর ভিড় ছিল। স্থানীয় লোকজন তো বটেই হায়দরাবাদের নানা জায়গা থেকে এসেছিলেন অনেকেই। শহরের নতুন গর্বকে এক ঝলক দেখার জন্য। সিরাজের ভাই মহম্মদ ইসমাইল বলেছেন, ‘বাবা বরাবর সিরাজের পাশে থেকেছে। এমনকি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে পড়াশোনার ক্ষতি হলেও কোনওদিন কিছু বলেনি। বরং সব সময় উত্‍সাহ দিয়ে গিয়েছে। বাবা যে ঠিক ভেবেছিল, সেটা প্রমাণিত হয়েছে।’