MS Dhoni KS Bharat : মাহি-মন্ত্র নিয়ে WTC ফাইনালে, বুমরার স্ত্রী-র কাছে ফাঁস করলেন কেএস ভরত
WTC Final 2023: কেএস ভরত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলের অংশ। আইপিএল চলাকালীন এমএস ধোনির কাছ থেকে উইকেটকিপিং নিয়ে বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন ভরত।
লন্ডন: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের (WTC Final 2023) জন্য ভারতীয় দলে দু’জন উইকেটকিপার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঈশান কিষাণ এবং কোনা শ্রীকর ভরত। ৭ জুন থেকে শুরু হতে চলা ফাইনালে ভারতীয় দলে একাদশে জায়গা পাওয়ার জন্য প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুইয়ের মধ্যে। ওভালের ফাইনালে উইকেটের পিছনে কে থাকবেন তা নির্ভর করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের উপর। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা এই তর্কে দু ভাগে বিভক্ত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতার জন্য কেএস ভরতকে (KS Bharat) এগিয়ে রাখছেন অনেকে। আবার হরভজন সিংয়ের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারের বাজি ঈশান কিষাণ (Ishan Kishan)। ওডিআই ফরম্যাটে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকানো ঈশানকে ব্যাটিংয়ের জন্যই এগিয়ে রাখছেন ভাজ্জি। জল্পনার মাঝেই আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেএস ভরত জানিয়েছেন, লন্ডনে আসার আগে মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে স্পেশাল টিপস পেয়েছেন তিনি। মাহির মূল্যবান পরামর্শ নিয়ে লন্ডনে টেস্টের মহারণে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত ভরত। বিস্তারিত রইল Tv9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চার ম্যাচের হোম টেস্ট সিরিজে ভরত উইকেটের পিছনে দায়িত্ব সামলেছিলেন। অন্যদিকে ঈশানের এখনও তার টেস্ট অভিষেক হয়নি। ভরত বলেছেন, ধোনির মূল্যবান পরামর্শ তাঁকে ওভালের বড় ম্যাচের জন্য দলে জায়গা নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে। ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক ভরত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের মূল স্কোয়াডে প্রথম থেকেই ছিলেন। চোট পেয়ে লোকেশ রাহুল ছিটকে যাওয়ার পর অন্তর্ভুক্তি হয় ঈশান কিষাণের। অভিজ্ঞতার কারণেই ভরতের পাল্লা ভারি। ঐতিহাসিক ফাইনাল খেলতে পারেন তিনি। তেমন হলে ইংল্যান্ডে এটাই হতে চলেছে ভরতের প্রথম টেস্ট ম্যাচ। কিছুটা নার্ভাস অবশ্যই। তবে এমএস ধোনির টিপস তাঁর উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ। ফাইনালের আগে ধোনির কাছ থেকে বিশেষ পরামর্শ পেয়েছেন ভরত। ধোনি তাঁকে কী পরামর্শ দিয়েছেন তা অ্যাঙ্কর তথা জসপ্রীত বুমরার স্ত্রী সঞ্জনা গণেশনের সঙ্গে কথোপকথনে প্রকাশ করেছেন ভরত।
২৯ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক বলেন, ‘ম্যাচের পরিস্থিতি সম্পর্কে ধোনির সচেতনতা তুলনাহীন। তিনিই সেরা উদাহরণ। একটি টেস্ট ম্যাচে দিনে ৯০ ওভার উইকেটকিপিং করার সময় প্রতিটি বলের দিকে মনোযোগ বজায় রাখতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার এবং দলের জন্য অবদান রাখার তাগিদ থাকা উচিত।” তিনি বলেন, “আইপিএল চলাকালীন ধোনির সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ইংল্যান্ডে খেলার অভিজ্ঞতা আমার সঙ্গে শেয়ার করেছেন। একজন উইকেটকিপারের কাছে সবচেয়ে বেশি কোনটা প্রয়োজন তা জানিয়েছেন। দারুণ একটা আলোচনা হয়েছে। আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। “