অলিম্পিকে সোনা জয়ের রহস্য কী? শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কী খান নীরজ চোপড়া (Neeraj Chopra)? টোকিও অলিম্পিকে সোনা জিতে সারা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন পঞ্জাবের ছেলে। হানঝাউ এশিয়ান গেমসেও সোনা জিতেছেন। এ বার প্যারিস অলিম্পিক (Paris Olympic 2024) থেকে সোনা আনতে চান বিশ্বের একনম্বর জ্যাভলিন থ্রোয়ার। দুপুর ও রাত্রে নীরজের থালায় কী মেনু থাকে, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে সবার। দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে নীরজই ফাঁস করে দিলেন সেই রহস্য। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
সাধারণত নিরামিষ খাবারই পছন্দ করেন নীরজ। কিন্তু বিদেশে ট্রেনিং নেওয়ার সময় শারাীরিক সক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অনেক সময় আমিষও খেতে হয় তাঁকে। বিদেশে ঠিকঠাক নিরামিষ পাওয়া যায় না বলেই আমিষের দিকে ঝুঁকতে হয়েছে। নীরজ বলছেন, ‘আমি খুব সাধারণ খাবার খেতে ভালোবাসি। ভেজ বিরিয়ানি, ডাল-ভাত, দই-রাইতা, রুটি, পনিরের মতো খাবার দিয়েই সারি দুপুর কিংবা রাতের খাবার। ভারতে থাকার সময় নিরামিষই খেতে ভালো লাগে। তাই খাই। কিন্তু বিদেশে ট্রেনিং করার সময় আমাকে আমিষের দিকে ঝুঁকতে হয়। দেশে নানা রকমের নিরামিষ খাবার পাওয়া যায়। কিন্তু বিদেশে সেটা সম্ভব নয়। সাপ্লিমেন্ট বেশি নিতে হয়। কিন্তু সাপ্লিমেন্ট ফুড দিয়ে পুষ্টির যাবতীয় দিক সামলানো যায় না। সেই কারণেই আমি আমিষ খাবারের দিকে ঝুঁকেছি।’
নীরজ চোপড় ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ কিনা, তা নিয়ে আলোচনা রয়েইছে। প্যারিস অলিম্পিকে যদি সোনা জিততে পারেন, তা হলে যাবতীয় প্রশ্নের উর্ধ্বে চলে যাবেন তিনি। বিদেশে খাবার খেতে গিয়ে একবার মজার ঘটনা ঘটেছিল, যা তুলে ধরেছেন নীরজ। ‘পোল্যান্ডে তখন ট্রেনিং করছি। ভাতের সঙ্গে শাক ও সবজি দেওয়া হয়েছে খাবারে। খেতে খেতে মনে হচ্ছিল, যেন কোনও এক গ্রামের ষাঁড় পাতা চিবোচ্ছে।’ একই সঙ্গে নীরজ বলে দিচ্ছেন, ‘সাপ্লিমেন্ট ও ন্যাচারাল ডায়াটের তালমেলটা খুব জরুরি। পুষ্টির পাশাপাশি রিকভারির ক্ষেত্রেও লাগে। আমিষ, নিরামিষের বাইরে আমি যেমন চা খেতে ভালোবাসি। কিন্তু বিদেশে ট্রেনিংয়ের সময় ছ’মাস আমি চা খাইনি। আবার যৎসামান্য মিষ্টিও খাই। দেশি ঘি দিয়ে তৈরি চুর্মা দারুণ লাগে। তবে কড়া ট্রেনিংয়ের সময়ই কিন্তু এ সব খাই। অন্য সময় খাই না।’
খাবারে সংযমী না হলে সাফল্য পাওয়া যায় না। খেলার ময়দান থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই সমান প্রাসঙ্গিক। নিজের ডায়াট চার্ট দিয়ে নীরজ যেন সেটাই প্রমাণ করে দিলেন।