মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই বিশ্বকাপে নামবেন পাকিস্তানের মারুফ
পিসিবির নতুন নিয়মে, অভিভাবকত্বের জন্য সবেতন ছুটি পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, চুক্তি থেকেও বাদ পড়বেন না তিনি। সেই মর্মেই ছুটি পেয়েছিলেন মারুফ। নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপের সময় মাকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন মারুফ। মেয়ে সঙ্গে থাকলেও যাতে ক্রিকেটে ফোকাস করতে পারেন তিনি। 'ওই নিয়ম না থাকলে ক্রিকেটই ছেড়ে দিত হত আমাকে। ক্রিকেটে ফিরে আসার জন্য আমার স্বামী প্রচুর সাহায্য করেছেন। ও বরাবর বলত, ক্রিকেটে আমি ফিরবই। আর আমার প্রত্যাবর্তন পরবর্তী প্রজন্মকে প্রেরণা দেবে। এখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড যেতে পারব।'
নয়াদিল্লি: বছর খানেক আগে ক্রিকেট থেকে অবসরই নিয়ে নেবেন ঠিক করেছিলেন। মাতৃত্বেই তখন ছিল তাঁর ফোকাস। সেই তিনিই এখন পাকিস্তানের (Pakistan) সবচেয়ে বড় ভরসা। মার্চ মাসে নিউজিল্যান্ডে (New Zealand) শুরু হচ্ছে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ (ICC Women’s Cricket World Cup)। বিসমা মারুফ যদি টিমকে টানতে পারেন, বিশ্বকাপে সাফল্যও পেতে পারে পাকিস্তান। মারুফের বিশ্বাস, ক্রিকেটে তাঁর প্রত্যাবর্তন মেয়েদের প্রেরণা হতে পারে। পরিবার সামলেও যে খেলা যায়, তার উদাহরণ হয়ে উঠেছেন পাক ব্যাটার।
অভিভাবকত্ব যে ক্রিকেটারদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ, তা অনুভব করেই গত বছর থেকে ছুটি চালু করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সেই ছুটি নিয়েই বেশ কিছুদিন ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন মারুফ। একই সঙ্গে তাঁর পরিবারকেও পেয়েছেন পাশে। ৩০ বছরের মারুফ বলছেন, ‘ওই সময় নিজের ভবিষ্যত্ নিয়ে কোনও ভাবনাই ছিল না আমার। মনে হয়েছিল সব শেষ। তখন আমি কথা বলি পিসিবির কর্তাদের সঙ্গে। কথা বলি কোচ ডেভিড হেম্পের সঙ্গেও। ওঁরাই বলেন, তুমি ফিরে আসতে পারো। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডেও তো মেয়েরা মাতৃত্বের পর আবার ক্রিকেটে ফিরে আসে।
পিসিবির নতুন নিয়মে, অভিভাবকত্বের জন্য সবেতন ছুটি পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, চুক্তি থেকেও বাদ পড়বেন না তিনি। সেই মর্মেই ছুটি পেয়েছিলেন মারুফ। নিউজিল্যান্ডে বিশ্বকাপের সময় মাকে সঙ্গে নিয়ে যাবেন মারুফ। মেয়ে সঙ্গে থাকলেও যাতে ক্রিকেটে ফোকাস করতে পারেন তিনি। ‘ওই নিয়ম না থাকলে ক্রিকেটই ছেড়ে দিত হত আমাকে। ক্রিকেটে ফিরে আসার জন্য আমার স্বামী প্রচুর সাহায্য করেছেন। ও বরাবর বলত, ক্রিকেটে আমি ফিরবই। আর আমার প্রত্যাবর্তন পরবর্তী প্রজন্মকে প্রেরণা দেবে। এখন আমি আমার মেয়েকে নিয়ে নিউজিল্যান্ড যেতে পারব।’
৬ মার্চ ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে পাকিস্তান। ক্রিকেটের সবচেয়ে উত্তেজক ম্যাচে সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন মারুফ। ‘আমরা কখনও সেমিফাইনালে যেতে পারিনি। সেটা যদি করে দেখাতে পারি এ বার, দারুণ কাজ হবে। অতীতে টিম হিসেবে খেললেও সাফল্য আসেনি। এ বার কিন্তু আমরা ছন্দে আছি। সেমিফাইনালে যেতে পারব, আমার বিশ্বাস।’
আরও পড়ুন: Hardik Pandya: আইপিএল থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন হার্দিক