পাকিস্তান প্রথম বার ভারতে খেলছে! তা একেবারেই নয়। তবে বর্তমান পাকিস্তান দলের কাছে এটিই প্রথম ভারত সফর। ২০১৬ সালে শেষ বার ভারতে এসেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট টিম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান স্কোয়াডে ছিলেন মহম্মদ নওয়াজ। যদিও ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটিও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। এ বার ওয়ান ডে বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও রয়েছেন তিনি। দলের আর এক সদস্য আঘা সলমন ভারতে খেলেছেন। তবে সেটা পাকিস্তানের হয়ে নয়। সেই অর্থে ভারতের মাটিতে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রথম ম্যাচই বলা যায়। বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
হায়দরাবাদি বিরিয়ানি নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটাররা প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নানা ‘অভিযোগ’ও এসেছে। এত সুস্বাদু বিরিয়ানি খেয়ে নাকি মোটা যাচ্ছেন পাক ক্রিকেটাররা! তাঁদের ফিট রাখতে চিন্তায় রয়েছেন সাপোর্ট স্টাফরা। পাকিস্তানের ভাইস ক্যাপ্টেন শাদাব খান এমন কথাই বলেছেন। এশিয়া কাপের আগে আইসিসি ওয়ান ডে ক্রমতালিকায় শীর্ষে ছিল পাকিস্তান। মাঝপথে অস্ট্রেলিয়ার কাছে শীর্ষস্থান হারায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ হারে ফের শীর্ষে উঠেছিল পাকিস্তান। তবে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে তিন ম্যাচের সিরিজে হারিয়ে পাকিস্তানকে শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে দিয়েছে ভারত।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম প্রতিপক্ষ এক যুগ পর বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে। শেষ বার ভারতেই ওয়ান ডে বিশ্বকাপ খেলেছিল তারা। পার্থক্যটা হল, এ বার যোগ্যতা অর্জন পর্বে চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করেছে নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সারতে অনেক আগেই ভারতে পৌঁছে গিয়েছে। ডাচ টিমে একাধিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ক্রিকেটারও রয়েছেন। কাগজে কলমে আন্ডারডগ নেদারল্যান্ডস। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে অনেক সময় আন্ডারডগের বিরুদ্ধে আত্মতুষ্টিতে ভুগে অনেক দলই চরম লজ্জার শিকার হয়।
হায়দরাবাদের বিরিয়ানির মতো সুস্বাদু পারফরম্যান্সেই নজর পাকিস্তানের। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় পাকিস্তানের বেস ক্যাম্প হায়দরাবাদ। সেখানেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। পরিবেশ-পরিস্থিতির সঙ্গে অনেকটাই মানিয়ে নিয়েছেন পাক ক্রিকেটাররা। কিন্তু ভারতের মাটিতে পারফরম্যান্সের বাড়তি চাপ সামলানো বাবর আজমদের কাছে বিশাল চ্যালেঞ্জ। তা ছাড়া, বিরিয়ানিতে মশলা একটু কম-বেশি হলেই সুস্বাদু আর হবে কী ভাবে! বোলিংয়ে নাসিম শাহর না থাকা কিংবা ওয়ার্ম আপ ম্যাচে তাগিদ, পাকিস্তান ক্রিকেট প্রেমীদের কিন্তু চিন্তায় রাখতেই পারে।
নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট টিমের কাছে হারানোর কিছুই নেই। পুরো টুর্নামেন্টে একটা দু-টো জয় ছিনিয়ে আনতে পারলেও গর্বের সঙ্গে দেশে ফিরতে পারবে তারা। আর প্রথম ম্যাচেই যদি পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী টিমকে হারিয়ে দেওয়া যায়? অঘটন তো যে কোনও সময়ই হতে পারে!