দোষ তো আমার, আমিই দায়ী… মাঠের বাইরের প্রলোভন তুলে ধরলেন কোন তারকা?
বান্দ্রায় নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন সদ্য। ব্যালকনি থেকে দেখা যায় আরব সাগর। ওই ফ্ল্যাটেই নবজন্ম হয়েছে ২৫ বছরের ছেলের। আজকাল আর বাড়ি থেকে খুব বেশি বেরোন না। সময় কাটান নিজের সঙ্গে। একাকীত্ব তাঁকে শিখিয়েছে ভালো আর মন্দ।

বান্দ্রায় নতুন ফ্ল্যাট কিনেছেন সদ্য। ব্যালকনি থেকে দেখা যায় আরব সাগর। ওই ফ্ল্যাটেই নবজন্ম হয়েছে ২৫ বছরের ছেলের। আজকাল আর বাড়ি থেকে খুব বেশি বেরোন না। সময় কাটান নিজের সঙ্গে। একাকীত্ব তাঁকে শিখিয়েছে ভালো আর মন্দ। মাঠের বাইরের প্রলোভন একসময় তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল মাঠ থেকে। একাকীত্ব আবার ফিরিয়েছে মাঠে। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে প্রবল চর্চা হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে। মুম্বইয়ের রঞ্জি টিম থেকে বাদ পড়েছেন। টিম পাননি আইপিএলে। এক সময় ভারতীয় ক্রিকেটে পরবর্তী সচিন তেন্ডুলকর ভাবা হত তাঁকে। সেই তিনিই হারিয়ে গিয়েছেন অন্ধকারে। কেউ কেউ বিনোদ কাম্বলির মতো নষ্ট প্রতিভা ভাবতে শুরু করেছেন। সেই পৃথ্বী শ হারিয়ে যাওয়া দুনিয়া আবার ফিরে পেতে মরিয়া।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পৃথ্বী স্বীকার করে নিয়েছেন, মাঠের বাইরের প্রলোভন ক্রিকেট থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তাঁকে। পৃথ্বীর কথায়, ‘আমার সঙ্গে যা যা ঘটেছে, আমিই সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারব। কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা অস্বীকার করা যাবে না। ক্রিকেটকে সময় কম দিয়েছি। আগে নেটে ৩-৪ ঘণ্টা প্র্যাক্টিস করতাম। কিন্তু তারপর থেকে একটু একটু করে সরেছি। এই সময়টাতে আমি অপ্রয়োজনীয় বন্ধু বানিয়ে ফেলেছিলাম। প্র্যাক্টিসের সময় কমে গিয়েছিল। কিছু পরিবারিক সমস্যাও ছিল। দাদু মারা যায় এই সময়। একটা ডিস্ট্র্যাকশন তৈরি হয়েছিল আমার মধ্যে। কিন্তু একা থেকে থেকে আমি নিজেকে অনেক স্ট্রং করে ফেলেছি। যে কারণে যে বন্ধুরা আমাকে দিগভ্রষ্ট করেছিল, তারা এখন সরে গিয়েছি। দোষ তো আমার। এর জন্য আর কেউ দায়ী নয়।’
ফিরে আসার লড়াই কীভাবে চালাচ্ছেন? মুম্বই প্রিমিয়ার লিগে দারুণ পারফর্ম করেছেন। মরসুম এখন শেষ। ইন্ডোরে প্র্যাক্টিস, জিম, রানিং করছেন। পৃথ্বী বলছেন, ‘২ বছর হয়ে গেল ভারতীয় দলের ধারেকাছে নেই আমি। ফিরে আসার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। সোজা কথা, বেসিকে ফিরে গিয়েছি। ৫ বছর আগে আমার যে রুটিন ছিল, তাতেই ফোকাস করেছি নতুন করে। নিজের উপর বিশ্বাস আছে। তবে এও জানি, ফিরে আসাটা সহজ নয়। তবে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখব না।’
খারাপ সময় কাকে পাশে পেয়েছেন? পৃথ্বী বলেছেন, ‘বাবা সব সময় আমার পাশে থেকেছে। ওঠা-পড়া দুটোই দেখেছে বাবা। যে কারণে মনোবল বাড়িয়েছে। বাবা ওই খারাপ সময়টাতে বলেছে, একমাত্র আমিই আমাকে ফেরাতে পারি পুরনো জায়গায়। বাড়ির বাইরে যেতে আজকাল আর ভালো লাগে না। মনে হয় নিজের মধ্যে থাকি। যা হারিয়েছি, আবার ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করি।’
খারাপ সময়ে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ফোন করেছেন কখনও? না বলে দিচ্ছেন পৃথ্বী। তবে এও জানাচ্ছেন, পুরনো বন্ধুদের মধ্যে ঋষভ পন্থ মাঝে মাঝে ফোন করেন। আর সচিন থেকেছেন পাশে। পৃথ্বীর কথায়, ‘সচিন স্যার আমার সম্পর্কে খুব ভালো করে জানেন। ছেলেবেলা থেকে দেখছেন। আমি আর অর্জুন ৮-৯ বছর বয়স থেকে একসঙ্গে খেলি। স্যারের সঙ্গে যতবার দেখা হয়েছে, উনি সমস্যাটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। ওঁর মতো অভিজ্ঞ লোক বুঝতে পারেন, কোথায় সমস্যা।’
