কলকাতা: সেই হতাশার চেনা ছবি ঘুরে-ফিরে আসছে। মনোজ তিওয়ারি এটাই কেরিয়ারের শেষ মরসুম। গতবার টিমকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু রঞ্জি ট্রফির শুরুতেই যা পরিস্থিতি, নকআউটের স্বপ্ন কতটা পূরণ হবে বাংলা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। ছত্তীসগঢ়ের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষ ২০৬-৪। আরও খারাপ হতে পারত। অনুষ্টুপ মজুমদারের জন্য হল না। ৩৯ বছরেও বাংলার সবচেয়ে সফল ক্রিকেটার সেই অনুষ্টুপই। বাইশ গজে বিপক্ষের ঝড়ঝাপটা সামলে যিনি ৫৫ রানে নট আউট আছেন। সঙ্গী অভিষেক পোড়েল, ৪৭ রানে ক্রিজে রয়েছেন। ম্যাচের বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রতি মরসুমেই একঝাঁক তরুণের অভিষেক হয় বাংলার হয়ে। কিন্তু মরসুম শেষ হওয়ার পর তাঁদের অনেককেই আর খুঁজে পাওয়া যায় না। সব রাজ্যই যখন একের পর এক তারার জন্ম দিচ্ছে, তখন বাংলার ক্রিকেট কেন পিছিয়ে পড়ছে, তা নিয়ে গবেষণা চলতে পারে। মনোজ তিওয়ারির মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার আর আসেননি। যাঁরা এসেছেন, তাঁরা ভিন রাজ্যের। বাংলা কি বাঙালির? এই প্রশ্নের উত্তর তবু প্রতি বছর মিলিয়ে চলেছেন অনুষ্টুপ। এ বারও মরসুমের শুরুতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। এই ম্যাচেও টিমকে টানছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫ হাজার রান করে ফেললেন। ৯৪ বলে ৫৫ করার পথে মেরেছেন ৮টা চার। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলে গেলেন, ‘যতটা বেশি সম্ভব রান তুলে নিতে হবে আমাদের।’
অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে এসেছে ১ পয়েন্ট। ৬০ অল আউট করেও উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে মিলেছে ৩ পয়েন্ট। ঘরের মাঠে ছত্তীসগঢ়ের মতো টিমকে পেয়ে কেন আগ্রাসী হবে না বাংলা? আসাম, বিহারকে হারিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিপক্ষের টিমে এমন কেউ নেই যিনি মেঘলা ইডেনে আগুনে বোলিং করবেন। রবি কিরণ, সৌরভ মজুমদার, জিভেস বাটরা তা করেনওনি। তাও কেন জ্বলে উঠতে পারল না মনোজের টিম? এত সমীহ করার কী আছে? অ্যাটাকিং হতে গিয়ে ৭৩ ওভারে ২০৬-৬ হলেই বা কী হত? এ সব প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। মনোজ নিজেও ১৯এ ফিরে গিয়েছেন। ওপেনার সৌরভ পাল (১২) ফিরতে সময় নেননি। অন্য ওপেনার শ্রেয়াংশ ঘোষ ২২ করতে নিলেন ১১১ বল! তিন নম্বরে নেমে সুদীপ ঘরামি করলেন ৪৯।