কলকাতা: অবসরের সময় হয়ে গিয়েছিল। সিনিয়র হিসেবে টিমে আর জায়গা তৈরি করতে পারছিলেন না। নতুন প্রজন্মের প্লেয়াররা হাজির হচ্ছেন। ঘরের মাঠে হোম সিরিজ নেই। কত তত্ত্ব উড়ে বেড়াচ্ছে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের (Ravichandran Ashwin) অবসরকে ব্যাখ্যা করার জন্য নানা যুক্তি সাজানো হচ্ছে। সবই কি জেনে বুঝে তৈরি করা হচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল থেকে? এই প্রশ্ন কিন্তু এ বার আগুন ঝরাতে শুরু করল। অশ্বিনের বাবা খোদ এমন কথা বলে দিয়েছেন, যা নিয়ে সন্দেহ আরও ঘোরতর হচ্ছে। অশ্বিনকে সত্যিই কি বাধ্য করা হল অবসর নিতে?
ভারতীয় ক্রিকেটার মহলের অনেকেই বলছেন, অবসরের সিদ্ধান্ত একেবারে শেষ মুহূর্তে নিয়েছেন অশ্বিন। টিমের কেউই জানতেন না, তিনি ব্রিসবেন টেস্টের শেষবেলায় চমকে দেবেন। বিরাট কোহলি থেকে রোহিত শর্মা, কেউই আগাম আঁচ পাননি। ছেলের অবসর নিতে চলেছেন, বাবা রবিচন্দ্রনও জানতেন না। এই তথ্য কিন্তু বেশ চমকে দেওয়ার মতো। অশ্বিন পরিবারকেন্দ্রীক ছেলে। যা করেন, পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেই করেন। কী এমন ঘটল যে, অবসরের মতো বিশাল সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও পরিবারকে শেষ মুহূর্তে জানিয়েছেন?
অশ্বিনের বাবা প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি একেবারে শেষ মুহূর্তে জানতে পেরেছিলাম, ও অবসর নিতে চলেছে। ওর মাথায় কী চলছিল, আমি একেবারেই জানি না। ও শুধু ঘোষণা করে দিয়েছিল। তবে আমি পূর্ণ সমর্থন করেছি। আমার সে রকম অনুভূতিই হয়নি। তবে যে ভাবে অশ্বিন অবসর নিয়েছে, এক দিক থেকে আমি খুশি। কিন্তু অন্য দিক থেকে অখুশি। কারণ ও খেলাটা চালিয়ে যেতে পারত।’
এই পর্যন্ত ব্যাপারটা ঠিকই ছিল। এর পরই অশ্বিনের বাবা বলে দিয়েছেন, ‘এটা যদি ওর একান্ত ইচ্ছে থেকে হয়ে থাকে, আমার বলার কিছু নেই। আমি এতে নাকও গলাবতে পারব না। কিন্তু যে ভাবে ও অবসর ঘোষণা করেছে, কিছু একটা কারণ এর পিছনে আছে। যেটা শুধু অশ্বিনই বলতে পারবে। হয়তো অপমানিত হয়েছে।’
অশ্বিনের বাবার এই মন্তব্যের পর কিন্তু নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ঠিক এ ভাবেই আগের প্রজন্মের কিছু সিনিয়রকে টিম থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যতই আধুনিক হোক, ভারতীয় ক্রিকেটের সেই ধারা আজও বহাল!