কলকাতা: অবশেষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জট ছাড়ল। প্রত্যাশা মতোই ভারতের দাবি মেনে নিল আইসিসি। অবশ্য পাকিস্তানের কিছু দাবিকেও দেওয়া হল মান্যতা। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে পাকিস্তানে। কিন্তু ভারত ওয়াঘার ওপারে খেলতে যেতে নারাজ। তা আইসিসিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল। সেখান থেকেই তৈরি হয় জট। পাকিস্তান থেকে টুর্নামেন্ট সরে যেতে পারে, এমনও বলা হচ্ছিল। আইসিসি মোটামুটি এশিয়ান ক্রিকেটে একটা ভারসাম্য বজার রাখার চেষ্টা করল। তাতে অনেক সিদ্ধান্তই নেওয়া হল। সেগুলো কী কী?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই হবে। অর্থাৎ ৮ দলের টুর্নামেন্টে সাতটা দল পাকিস্তানে খেলতে পারে। কিন্তু ভারতীয় যাবতীয় ম্যাচ হবে নিরপেক্ষ কোনও দেশের মাঠে। সে ক্ষেত্রে দুবাই হতে পারে ভারতের ভেনু। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের দাবি মানার পাশাপাশি বিসিসিআইকেও অনেকগুলো দাবি মেনে নিতে হচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত, যে সব আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে ভারত, পাকিস্তান তাতে অংশ নেবে ঠিকই, কিন্তু খেলবে নিরপেক্ষ ভেনুতে। সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ক্ষেত্রেও নিরপেক্ষ ভেনুই রাখতে হবে। এটা ভারতীয় বোর্ডের পক্ষে হজম করা কঠিন হলেও মেনে নিতে হয়েছে। কারণ আইসিসির বোর্ড নির্বাচন রয়েছে এর মধ্যে। পাকিস্তানের মতো দেশকে চটাতে চাইছে না বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা।
২০২৫ সালে ভারতের মাটিতে মেয়েদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। পাকিস্তান নিরপেক্ষ দেশে খেলবে। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যৌথ্য আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। সে ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তান একই গ্রুপে থাকলেও শ্রীলঙ্কার মাটিতে হবে দুই যুযুধান দেশের ম্যাচ। একই সঙ্গে ভারতের ওই দেশে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি না খেলায় পাকিস্তানের বিপুল আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। তা সামাল দেওয়ার জন্য ২০২৮ সালে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানকে।
একই সঙ্গে পাকিস্তানের আর্থিক ক্ষতির কথা ভেবে একটি তিন বা চার দেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ করার অনুমতি দিতে পারে আইসিসি। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে শেষবার এমন সিরিজ হয়েছিল। ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। তবে তিন দেশীয় টুর্নামেন্ট হলে পূর্ণ এশিয়ান সদস্য নিতে হবে। চার দেশীয় হলে আধা সদস্য কাউকে নিলেও চলবে। তবে এই সিরিজ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পিসিবি এবং আইসিসি।