বিস্ফোরণ কম হয়নি। তাতেও রিটেন লিস্টে জায়গা মিলল না। জস দ্য বস আপাতত নিলামের খাতায়। ঠিকানা কি রাজস্থান হবে? জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। ঘূর্ণি তো অনেক দেখল জয়পুর। কিন্তু গোলাপি জার্সি এখন আর তাঁর নয়। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেট যতই থাকুক, যুজবেন্দ্র চাহাল সেরা ছয়ে জায়গা পেলেন না। ঠিক যেমন পাওয়ার প্লে স্পেশালিস্ট ট্রেন্ট বোল্টকে রাখা হল না। তারকা যত বেশি যে টিমে, সেই টিমকে তত বেশি খাটাতে হয়েছে মাথা। আর তারই ফল রাজস্থান রয়্যালস। ক্যাপড এবং আনক্যাপড প্লেয়ার মিলিয়ে ছ-জন বাছতে গিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কোচ হিসেবে আইপিএল ও রাজস্থান রয়্যালসে কামব্যাক করা রাহুল দ্রাবিড়কে।
রিটেনশন তালিকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি ছিল রাজস্থান রয়্যালসেরই। তার কারণ, কাকে ছেড়ে দেওয়া হবে এটাই বড় মাথাব্যথা। সঞ্জু স্যামসন, যশস্বী জয়সওয়ালকে রিটেন করা নিশ্চিত ছিল। আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে সন্দীপ শর্মাও। কিন্তু জস বাটলার, শিমরন হেটমায়ার, যুজবেন্দ্র চাহাল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন! নাহ, সকলকে রাখা সম্ভব নয়। শেষ অবধি কোটার ছয় জনকেই রিটেন করল রাজস্থান রয়্যালস। আর এতে জায়গা হল না জস বাটলারের মতো ব্যাটারেরও।
ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসন (১৮ কোটি), বাঁ হাতি ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল (১৮ কোটি) এবং অলরাউন্ডার রিয়ান পরাগ (১৪ কোটি), কিপার-ব্যাটার ধ্রুব জুরেল (১৪ কোটি), শিমরন হেটমায়ার (১১ কোটি) এবং আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে সন্দীপ শর্মা (৪ কোটি)। সদ্য ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড়। এরপরই আইপিএলে কোচ হিসেবে কামব্যাক করেছে। কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাঁকে?
কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলছেন, ‘সত্যি বলতে, সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। অনেককেই ছেড়ে দিতে হয়েছে। অনেক ভাবনা, আলোচনা করার পর এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ওরা তিন বছর ধরে কোয়ালিটি দেখিয়েছে। কোর টিম ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। সঞ্জু, রিয়ান, হেটমায়ার, যশস্বী। এরকম চার পাঁচজন যারা একাদশে থাকতে পারত বা নিয়মিত থাকত যেমন চাহাল, অশ্বিন, বাটলার, আবেশ, প্রসিধ, তাদেরও রাখতে পারলাম না। আমাদের জন্য খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত। তেমনই সঞ্জু স্যামসনের ক্ষেত্রেও। সতীর্থদের ছেড়ে থাকতে অস্বস্তিই হয়। কী আর করা যাবে।’