পুনে: ডেঙ্গির কারণে প্রথম দুটো ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যে ভাবে নেমে পড়েছিলেন মাঠে, তা অনেককেই মুগ্ধ করেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমেদাবাদে খেলার জন্য মরিয়া ছিলেন। চেন্নাইয়ের কাবেরি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সোজা আমেদাবাদে পৌঁছন। শারীরিক দুর্বলতাকে গুরুত্ব না দিয়ে নেটে পড়েছিলেন। ম্যাচের আগের দিনও তিন দফা ব্যাট করেছিলেন। কোচ রাহুল দ্রাবিড় কড়া নজর রেখেছিলেন তরুণ ক্রিকেটারের উপর। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ম্যাচে রোহিত শর্মাার সঙ্গী হয়েই ওপেন করতে নেমেছিলেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। সেই তিনিই পাক ম্য়াচে বিশ্বকাপের অভিষেক নিয়ে তৃপ্ত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নামার আগে কী বলেছেন তিনি? TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।
বাবর আজমের টিমের বিরুদ্ধে শুরুটা চমৎকার করেছিলেন। কিন্তু বেশি দূর এগোতে পারেননি। শুভমন বলেছেন, ‘আমি নিজের স্বাভাবিক খেলার উপরেই ফোকাস করেছিলাম। রোজ যেটা করি, সেটাই যাতে করতে পারি, সেই চেষ্টাই করেছিলাম। বিশেষ করে ওই রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এটাই দরকার ছিল। সেই সঙ্গে মানসিক ভাবে নিজেকে তুঙ্গে রাখাটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’ গত এক বছরে ভারতের সবচেয়ে সফল ওয়ান ডে ব্যাটারের নাম শুভমন। বিশ্বকাপের প্রথম দুটো ম্যাচে তাঁকে না পাওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। শুভমন নিজেও মাঠে নামার জন্য মরিয়া ছিলেন। তরুণ ক্রিকেটারের এই মানসিকতার প্রশংসা করেছেন সকলেই। ভারতের ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা যে কারণে পাকিস্তান ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে বলে দিয়েছিলেন, শুভমন ৯৯ শতাংশ ফিট।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কেমন? শুভমন বলে দিচ্ছেন, ‘দারুণ অভিজ্ঞতা। বিশ্বকাপে আমি নিজের প্রথম ম্যাচই খেললাম পাকিস্তানের মতো টিমের বিরুদ্ধে। আমাদের কাছে ওটা একটা বড় ম্যাচ ছিল। যে ছন্দ আমরা চাইছিলাম, সেটা পেয়েছিলাম। আশা করি এই ছন্দটা ধরে রাখতে পারব।’ রোহিতের সঙ্গী ওপেনার হিসেবে নেমে স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করেছেন শুভমন। রোহিতকে উল্টো দুরন্ত ফর্মে দেখে তৃপ্ত। শুভমনের কথায়, ‘যেমন খেলে, সেটাই ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল। রোহিত ভাই আগ্রাসী ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা দারুণ ভাবে করছে। যে ভাবে খেলতে ভালোবাসে রোহিত ভাই, সে ভাবেই খেলার চেষ্টা করে। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে মাঝের ওভারগুলোয় ভালো খেলাটা খুব জরুরি। টিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণও বটে। যদি ওই সময় কোনও টিম যদি উইকেট ধরে রাখতে পারে, পরের দিকে সেটা কাজে লাগানো যায়।’
বিশ্বকাপে ভারতীয় টিম পর পর তিনটে ম্যাচ জিতেছে। বাংলাদেশকে হারাতে পারলে পয়েন্ট টেবলে আরও স্বস্তিদায়ক জায়গায় পৌঁছে যাবে টিম। ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরবর্তী ম্যাচ। টানা পাঁচটা ম্যাচ জিততে পারলে কিন্তু শেষ চারের রাস্তা আরও মসৃণ হয়ে যাবে। রোহিতবাহিনী সেই চেষ্টা করছে।