ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল খেলছে পুরুষদেরও আগে থেকে। যদিও সেই অর্থে প্রচার পায়নি। ২০১৭ সালের পর থেকে পরিস্থিতিটা বদলাতে শুরু করে। তার আগেও বিশ্বকাপ খেলেছে ভারত। ফাইনালেও উঠেছে। ট্রফি আসেনি। ২০১৭ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সে বার দুর্দান্ত সুযোগ ছিল। ট্রফি জয় যেন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ম্যাচের রং পুরোপুরি বদলে যায়। অল্পের জন্য ট্রফি আসেনি। তবে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটে নতুন আশা জাগিয়েছিল সেই বিশ্বকাপ। ধীরে ধীরে মেয়েদের ক্রিকেটের প্রচার বেড়েছে। জনপ্রিয়তাও। এর অন্যতম কারণ ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স। আর ভারতীয় ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ হয়ে ওঠা স্মৃতি মান্ধানার অবদান অনস্বীকার্য। বিরাট কোহলিকে যেমন ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের সৌজন্যে কিং কোহলি বলা হয়ে থাকে, তেমনই স্মৃতি মান্ধানা ভারতীয় ক্রিকেটের কুইন। আজ সেই স্মৃতি মান্ধানারই জন্মদিন।
বিশ্ব ক্রিকেটে পোস্টার গার্ল হয়ে উঠেছে স্মৃতি মান্ধানা। ভারতীয় ব্যাটিং বিভাগের স্তম্ভ। একের পর এক রেকর্ড গড়েছেন। তাঁকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনেছে নতুন প্রজন্ম। ছেলেরা যেমন বলতো সচিন, সৌরভ, দ্রাবিড়, সেওয়াগ, বিরাট কোহলির মতো হতে চায়। এখন মেয়েদের ক্রিকেটেও সেই জোয়ার এসেছে। নতুন প্রজন্ম বলে, তারা স্মৃতি মান্ধানা হতে চায়। কাল থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ। সেখানেও নতুন প্রজন্ম চোখ রাখবে স্মৃতি মান্ধানার পারফরম্যান্সে। ভালো খেললে যেমন হাসি ফুটবে, ব্যর্থ হলে হতাশা। স্মৃতি ব্যাটিংয়ে নামলে সাফল্যের প্রার্থনাই থাকে।
খুব ছোট্ট বয়সেই ক্রিকেটের প্রতি টান স্মৃতির। এর কারণ তাঁর দাদা। তিনি ক্রিকেট খেলতেন। দাদাকে দেখেই ক্রিকেটে আকর্ষণ বাড়ে। স্মৃতির পরিবার সেই আকর্ষণ দমতে দেননি। স্থানীয় ক্রিকেট কোচ অনন্ত তাম্বাবেকরকে দায়িত্ব দেন। দাদা শ্রবণ বাঁ হাতি ব্য়াটার ছিলেন। তাঁর কিট নিয়েই প্র্যাক্টিস করতেন স্মৃতি। দাদার স্টান্স দেখেই স্মৃতিও বাঁ হাতি ব্যাটার হন। স্মৃতির কভার ড্রাইভ দেখলে ক্রিকেট প্রেমীদের মন জুড়িয়ে যায়।
মাত্র ১১ বছরেই অনূর্ধ্ব ১৯ রাজ্য দলে সুযোগ পেয়েছিলেন স্মৃতি। ২০১৩ সালে ১৭ বছরেরও কম বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক। কেরিয়ারে ৭টি টেস্ট খেলেছেন। ব্যাটিং গড় ৫৭-র বেশি। দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে। এর মধ্যে একটি গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্টে। পুরুষদের ক্রিকেটে গোলাপি টেস্টে ভারতের প্রথম সেঞ্চুরিয়ন বিরাট কোহলি। তেমনই মেয়েদের টেস্টে গোলাপি টেস্টে ভারতের প্রথম সেঞ্চুরিয়ন স্মৃতি মান্ধানা। তাও আবার অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে।
ওয়ান ডে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮৫ ম্যাচ খেলেছেন স্মৃতি। করেছেন ৩৫৮৫ রান। ব্যাটিং গড় ৪৫-এর বেশি। রেকর্ড সাতটি সেঞ্চুরি। ২৭টি হাফসেঞ্চুরি। ১৩৬টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৩৩২০ রান করেছেন স্মৃতি। রয়েছে ২৪টি হাফসেঞ্চুরির ইনিংস। ২০১৮ সালে অর্জুন সম্মান দেওয়া হয় স্মৃতিকে। অজি অলরাউন্ডার এলিস পেরির পর স্মৃতি মান্ধানাই একমাত্র মহিলা ক্রিকেটার যিনি, দু-বার আইসিসি বর্ষসেরার পুরস্কার জিতেছেন। ২৮ তম জন্মদিনে স্মৃতি মান্ধানাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
It’s a very special day, Queen Smriti Mandhana’s birthday. ❤️👑
The leader of the tribe and rightful helms-woman of our ship. Wishing you many happy returns of the day, Skipper! 🎂🥳#PlayBold #ನಮ್ಮRCB @mandhana_smriti pic.twitter.com/Qb5VJ2SHuJ
— Royal Challengers Bengaluru (@RCBTweets) July 17, 2024