Virat Kohli: আনলাকি বিরাট কোহলি! মোক্ষম সময়ে আম্পায়ার্স কলের ‘শিকার’
India vs New Zealand: বিরাট কোহলি এমন এক ক্রিকেটার, যিনি যে কোনও জায়গা থেকে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর ক্ষমতা রাখেন। তাই তাঁর উইকেট তুলে নিতেই নিউজিল্যান্ড টিমের ক্রিকেটারদের দেখা যায় সেলিব্রেশনে মেতে উঠতে। তাঁদের দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচটাই জিতে নিয়ে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলেছেন।
কলকাতা: কিউয়িদের বিরুদ্ধে ভিন্টেজ বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) দেখা যাচ্ছিল পুনে টেস্টে। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে সামনে ৩৫৯ রানের বড় লক্ষ্য। সেখানে বিরাটের মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটার একবার সেট হয়ে গেলে নিউজিল্যান্ড যে চরম বিপাকে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিরাট ধীর, স্থির, শান্ত হয়ে খেলছিলেনও। যা তাঁর অনুরাগীদের মনে করিয়ে দিচ্ছিল টেস্টে (Test Cricket) কোহলির নানা ক্লাসিক ইনিংস। যা দেখে সকলের চোখ জুড়ায়। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের বেশিক্ষণ চোখের আরাম হতে দিলেন না মিচেল স্যান্টনার। শুধু তাই নয়, বিরাট কোহলি মোক্ষম সময়ে হলেন আম্পায়ার্স কলের ‘শিকার’।
৩০তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন বিরাট কোহলি। ৪০ বলে করেন ১৭ রান। ৩০তম ওভারের শেষ ডেলিভারিটা যেখানে পড়েছিল এবং বলের ইমপ্যাক্ট তাতে লেগ স্টাম্প মিস করার চান্স ছিল। আম্পায়ার যেহেতু আউট দিয়েছিলেন, তাই বিরাটের কিছু করার ছিল না। কী হতে পারে তা ভেবে সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন কোহলি। সেখানে দেখা যায় লেগ স্টাম্পে হালকা বল লাগছে। আম্পায়ার আউট না দিলে উইকেট হারাতে হত না কোহলিকে। নিজেই এতটা অবিশ্বাসে ভুগছিলেন যে জায়ান্ট স্ক্রিনে রিভিউ দেখার পর এবং আম্পায়ার আউটের সিগন্যাল দেওয়ার পরও কিছুক্ষণ হতবাক হয়ে মাঠে দাঁড়িয়েছিলেন। তারপর মাঠ ছাড়েন। তাঁর ঠিক বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে তিনি আউট হয়েছেন।
এই খবরটিও পড়ুন
IT WAS JUST CLIPPING…!!!! pic.twitter.com/Rcx6byRzWS
— Johns. (@CricCrazyJohns) October 26, 2024
বিরাট এমন এক ক্রিকেটার যিনি যে কোনও জায়গা থেকে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর ক্ষমতা রাখেন। তাই তাঁর উইকেট তুলে নিতেই নিউজিল্যান্ড টিমের ক্রিকেটারদের দেখা যায় সেলিব্রেশনে মেতে উঠতে। তাঁদের দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচটাই জিতে নিয়ে সিরিজ পকেটে পুরে ফেলেছেন।
ভারতের কাছে এই টেস্টের জন্য ‘অফুরন্ত’ সময় রয়েছে। কারণ আজ চলছে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন। আর যদি ১ ঘণ্টা ক্রিজে কাটাতে পারতেন কোহলি, তা হলে ম্যাচের ফল অন্য হতে পারত। এটা ঠিক যে বল অনেকটা টার্ন করেছিল। বিরাট ব্যাকফুটে খেলেছিলেন। ভাগ্য তাঁর সঙ্গ দিল না। টেকনোলজির কাছে হার মানতে হল। আম্পায়ার্স কল কোহলির অত্যন্ত অপছন্দের। অতীতে বহুবার আম্পায়ার্স কল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর পরিষ্কার দাবি ছিল, উইকেটে বল লাগলে আউট, না লাগলে নয়। এই আম্পায়ার্স কল কনফিউশন তৈরি করে। আম্পায়ার্স কল যে টেকনিকেলি ১০০ শতাংশ ঠিক হয়, তেমনটাও নয়। পুনে টেস্টে যে কারণে বলা যায় আম্পায়ার্স কলের শিকার হলেন ‘আনলাকি’ বিরাট।