AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cricket Retro Story: পায়ে মাথা ঠেকানোর নির্দেশ, কেঁদে ফেললেন বিরাট; ভারতীয় দলের সাজঘরে ব়্যাগিং!

ব়্যাগিং-বুলিং। উহুঁ, কলেজ বা হস্টেলের কথা হচ্ছে না। এটা ভারতীয় ক্রিকেট দলের ড্রেসিংরুম। শিকার কে হয়েছিলেন জানেন? বিরাট কোহলি। আজকের কিং কোহলি তখন সদ্য জাতীয় দলে প্রবেশ করেছেন।

Cricket Retro Story: পায়ে মাথা ঠেকানোর নির্দেশ, কেঁদে ফেললেন বিরাট; ভারতীয় দলের সাজঘরে ব়্যাগিং!
বিরাটকে ব়্যাগিং যুবরাজেরImage Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2022 | 6:49 PM
Share

কলকাতা: কলেজ, হস্টেলে ব়্যাগিংয়ের বহু কিস্সা শোনা যায়। সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের নানাভাবে উত্যক্ত করা। তাঁদের দিয়ে অনিচ্ছাকৃত কাজকর্ম করানো। অনেক সময় বিষয়টি হাসি মজার পর্যায়ে থাকলেও কখনও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। এমন উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি। তবে আজ যে ব়্যাগিংয়ের (Ragging) কথা বলব, তা কলেজ বা হস্টেলে নয়, ঘটেছিল ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাজঘরে। যার শিকার হয়েছিলেন সদ্য জাতীয় দলে পা রাখা বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ভাবুন, জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক, বাইশ গজের রানমেশিন নামে পরিচিত কোহলি নাকি সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব়্যাগিংয়ের শিকার হন। বিরাট খোদ সেই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন।

২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাটের। তাঁর অভিষেকের সময়ে জাতীয় দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি তখন কেরিয়ারের সায়াহ্নে। সচিন ছাড়া সিনিয়র বলতে দলে রয়েছেন যুবরাজ সিং ও হরভজন সিং। দুই সর্দার মিলে হাসি ঠাট্টায় মাতিয়ে রাখতেন। আবার দলের বড় প্র্যাঙ্কস্টার ছিলেন এরা। সবে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া বিরাট কোহলির উপর নজর পড়ে দু’জনের। বিরাটকে ডেকে নিয়ে যুবি-ভাজ্জি বলেন, “টিমে নতুন কেউ এলে সবার প্রথমে তাঁকে সচিন তেন্ডুলকরের পা ছুঁতে হয়। রীতি অনুযায়ী তোমাকেও এটা করতে হবে।” এমন অদ্ভূত নিয়মের কথা শুনে অবাক হয়ে যান দিল্লি-বয়। তবে সিনিয়রদের কথার অমান্য না শুনে দুরুদুরু বুকে সচিনের কাছে যান। ততক্ষণে চোখে জল এসে গিয়েছে ছেলের। ঢিপ করে সচিনের পায়ে মাথা ঠেকাতেই অবাক হকচকিয়ে যান মাস্টার ব্লাস্টার। শোনা যায়, বিরাটের থেকে পুরো বিষয়টি জানতে পেরে যুবি, ভাজ্জির রীতিমতো ‘ক্লাস’ নিয়েছিলেন সচিন।

প্র্যাঙ্কস্টার যুবি খোদ ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। যার পিছনে ছিলেন স্বয়ং অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। তবে সেটাকে ব়্যাগিং বলা যায় কি না তা নিয়ে তর্ক থাকতেই পারে। কেরিয়ারের শুরুর দিকে একটি ম্যাচের আগে যুবরাজকে ডেকে সৌরভ বলেন, তাঁকে ওপেন করতে হবে। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটার যা শুনে বেশ চাপে পড়ে যান। তবে বাধ্য ছাত্রের মতো অধিনায়কের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। ম্যাচের দিন সকাল থেকেই স্নায়ুর চাপে ভুগছিলেন যুবরাজ। নার্ভাসনেস ফুটে উঠেছিল চোখে মুখে। ভ্রাতৃসম সতীর্থর এই অবস্থা দেখে সদয় হন সৌরভ। যুবরাজকে ডেকে বলেন, “তোমার ভেতর থেকে ভয়ের জুজুটা বের করার চেষ্টা করছিলাম।” শুনে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে যুবির।

ক্রিকেট জীবনের শুরু দিকে নোংরা ব়্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিলেন সুরেশ রায়না। লখনউয়ের স্পোর্টস হস্টেলে থাকার সময়, সিনিয়রদের নিশানায় থাকতেন তিনি। নিজেদের কাজ রায়নাকে দিয়ে করাতো তারা। কখনও কান ধরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হত। গায়ে জল ছুঁড়ে দেওয়া হত। বায়োগ্রাফি ‘বিলিভ’-এ রায়না লেখেন, “কোনও একটা টুর্নামেন্টের জন্য আগ্রা যাচ্ছিলাম। ট্রেনের দরজার সামনে বসে থাকার সময় কয়েকজন সিনিয়র এসে উত্যক্ত করে শুরু করে। তার মাঝে একজন লম্বা, তাগড়াই চেহারার ছেলে মুখের উপর বসে প্রস্রাব করে দেয়!”