উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী সংস্করণ হতাশায় কেটেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। পুরুষ দলের মতো আরসিবি মহিলা দলেও তারকা প্লেয়ার প্রচুর। তারপরও রেজাল্ট ভালো না হওয়ায় হতাশা স্বাভাবিক। দ্বিতীয় সংস্করণে এখনও অবধি উচ্ছ্বাস আরসিবি শিবিরে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল তারা। প্রথম ম্যাচে মূল ভূমিকা নিয়েছিলেন লেগ স্পিনার আশা শোভানা। ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। এ দিন টিম গেমে জয়। বোলারদের দাপটের পাশাপাশি ভরসা দিল ক্যাপ্টেনের ব্যাট। গুজরাট জায়ান্টসকে ৮ উইকেটে হারাল আরসিবি। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস হেরে রান ডিফেন্ড করতে হয়েছিল আরসিবিকে। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামীতে রান তাড়া করে জয়ের পরিসংখ্যান ভালো। তবে পরিসংখ্যান বদলে প্রথম ম্যাচ ডিফেন্ড করেই জিতেছিল আরসিবি। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিতে দ্বিতীয় বার ভাবেননি আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। ক্যাপ্টেনের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন বোলাররাও। হরলীন দেওল একদিন আগলে রাখার চেষ্টা করলেও উল্টোদিক থেকে পরপর উইকেট পড়তে থাকে। হরলীন ২২ রানে ফেরেন। লোয়ার অর্ডারে ২৫ বলে ৩১ রান দয়ালান হেমলতার। এটিই ইনিংসের সর্বাধিক। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৭ রান করে গুজরাট জায়ান্টস।
নতুন বলে অনবদ্য রেনুকা সিং ঠাকুর। আরসিবির এই পেসার ২ উইকেট নেন। তেমনই প্রথম সিজনেই অনবদ্য সোফি মলিনিউ। এ দিন নিলেন ৩ উইকেট। গত ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া আরসিবি লেগস্পিনার আশা শোভানা উইকেট না পেলেও ৩ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৩ রান। আরসিবির সামনে জয়ের টার্গেট ছিল মাত্র ১০৮ রান।
দলীয় ৩২ রানে সোফি ডিভাইনের উইকেট হারায় আরসিবি। ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন গত ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করা সাব্বিনেনি মেঘনা। স্মৃতি যে ছন্দে খেলছিলেন তাঁর হাফসেঞ্চুরি ছিল সময়ের অপেক্ষা। অবশেষে ২৭ বলে ৪৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসেই আউট ক্যাপ্টেন। মেঘনাকে সঙ্গে নিয়ে অলরাউন্ডার এলিস পেরি অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। মাত্র ১২.৩ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আরসিবি। মেঘনা ৩৬ ও পেরি ২৩ রানে অপরাজিত।