উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মনে পড়ে? সেই ২০০৭ সাল। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। স্কোয়াডে ছিলেন ইউসুফ পাঠানও। পুরো টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পাননি। শেষ অবধি একেবারেই ফাইনালে সুযোগ! টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি ওয়ান ডে বিশ্বকাপও জিতেছেন ইউসুফ পাঠান। ২০১১ সালে মাহির নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইউসুফ। ক্রিকেটের ময়দানে যেমন সাফল্য পেয়েছেন, তেমনই রাজনীতির ময়দানে নেমেই সফল। বাইশ গজ থেকে সংসদে পা রাখা ইউসুফ পাঠানের সম্পত্তির পরিমাণ অবশ্য নজকাড়া।
ইউসুফের ক্রিকেট কেরিয়ার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত জেনে নেওয়া যাক। ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন অলরাউন্ডারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার দীর্ঘ না হলেও যথেষ্ঠ বর্ণময়। বড় অবদান যেমন রেখেছেন, তেমনই দুটি বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের স্বাদ। ২০১২ সালে দেশের জার্সিতে শেষ বার খেলেছিলেন। প্রত্যাবর্তন আর হয়নি। তবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলা চালিয়ে যান। আইপিএল থেকে অবসরের পর বিভিন্ন ভেটারেন্স লিগে খেলেন।
ইউসুফের বাড়ি গুজরাটের ভদোদরায়। এ বারই রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন ইউসুফ। তবে নিজের রাজ্য নয়, বাংলায় বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়েছেন। উল্টোদিকে ছিলেন রাজনীতির পোড়খাওয়া চরিত্র অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পাঁচ বারের সাংসদকে হারিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। তাঁর সম্পত্তির পরিমান সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ভদোদরায় একটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে ইউসুফের। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা। ২০০৮ সালে ভাই ইরফান পাঠানের সঙ্গে মিলে প্রায় ৩ কোটিতে সেটি কিনেছিলেন। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁর জমি-জমা রয়েছে। বেশ কিছু গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ফোর্ড, বিএমডব্লিউ-এর মতো গাড়িও রয়েছে। ইউসুফ পাঠানের মোট সম্পত্তির পরিমান প্রায় ২৫০ কোটি! তাঁর বার্ষিক আয় ২০ কোটির বেশি। এখন যা বাড়বে। যদিও তাঁর জমি-জমা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে বেশ চাপে ইউসুফ পাঠান।