East Bengal: ৮০ শতাংশ শেয়ার চাইছে ইমামি, সামনের সপ্তাহেই হয়তো চূড়ান্ত: সূত্র
দুই পক্ষের মধ্যে আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন। কিছু কিছু জিনিস নিয়ে প্রতিনিয়তই আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই সেই ছোট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন, ফুটবল স্বত্বের কত শতাংশ স্টেক চাইছে বিনিয়োগকারী সংস্থা?

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা পরেও এখনও চূড়ান্ত ভাবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)-ইমামি গ্রুপের (Emami Group) গাঁটছড়া হয়নি। দুই পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। চুক্তিপত্রের খসড়া এখনও ক্লাবে এসে পৌঁছয়নি। অন্যান্য ক্লাবগুলো যখন দলগঠনে ব্যস্ত, তখন ইস্টবেঙ্গল ব্যস্ত চুক্তিপত্র নিয়ে। অনেক বিষয় নিয়েই আলোচনা চলছে দুই পক্ষের মধ্যে। সমর্থকরা তাকিয়ে আছেন ইস্টবেঙ্গল-ইমামি গ্রুপের চূড়ান্ত গাঁটছড়ার দিকে। শোনা যাচ্ছিল, শনিবার চুক্তিপত্রের খসড়া ক্লাবে পাঠাতে পারে ইমামি। তবে শনিবার সন্ধে পর্যন্তও সেই খসড়া ক্লাবকে পাঠায়নি বিনিয়োগকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, সামনের সপ্তাহেই চূড়ান্ত সব কিছু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও ক্লাবকে চুক্তিপত্রের খসড়া পাঠানোর পরও চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সইয়ের ব্যাপারে আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কার্যকরী কমিটির সভায় সবুজ-সংকেত পাওয়ার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ক্লাব।
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও এখনও সব চূড়ান্ত না হওয়ায় স্বভাবতই অপেক্ষার বাঁধ ভাঙছে সমর্থকদের। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে। দুই পক্ষের মধ্যে আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে একটা নির্দিষ্ট সময়ের প্রয়োজন। কিছু কিছু জিনিস নিয়ে প্রতিনিয়তই আলোচনা চলছে। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই সেই ছোট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন, ফুটবল স্বত্বের কত শতাংশ স্টেক চাইছে বিনিয়োগকারী সংস্থা?
সূত্রের খবর, ৮০ শতাংশ স্টেক চাইছে ইমামি গ্রুপ। বাকি ২০ শতাংশ ক্লাবের। যেহেতু শুধুমাত্র ফুটবলেই ইনভেস্ট করবে বিনিয়োগকারী সংস্থা, তাই ৮০ শতাংশ স্টেক নিজেদের দখলে রাখতে চায় ইমামি গ্রুপ। ক্লাব কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন। শোনা যাচ্ছে, সামনের সপ্তাহেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। ইস্টবেঙ্গল-ইমামি গ্রুপের চুক্তির বিষয়টিও অনেকটা এগোতে পারে। আগস্টে শুরু ডুরান্ড কাপ। অক্টোবরে আইএসএল। যদিও কলকাতা লিগের দল এক রকম তৈরি করে রেখেছে ইস্টবেঙ্গল। যতক্ষণ না ক্লাব আর বিনিয়োগকারী সংস্থার চুক্তি চূড়ান্ত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দলগঠনের কাজও থমকে রয়েছে। তাই দ্রুত এই প্রক্রিয়া সমাধান করতে মরিয়া উভয় পক্ষই।
আরও পড়ুন: IFA: হাসপাতালে ভর্তি আইএফএ সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়
