Harry Maguire: রাশিয়া বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি হবে না, বিশ্বাস হ্যারির…

England: এক বারই বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্য়ান্ড। সেই ১৯৬৬ সালে। এ বারের শুরুটা অনবদ্য হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ৬-২ জয়। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে। তরুণ ফুটবলার ফিল ফডেনকে পর্যাপ্ত সুযোগ না দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন।

Harry Maguire: রাশিয়া বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি হবে না, বিশ্বাস হ্যারির...
Image Credit source: twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 08, 2022 | 2:28 PM

দোহা : প্রতিবারই বড় স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে পা রাখা। কিন্তু ট্রফি নিয়ে ফেরা হয় না। এই গল্পটা ইংল্যান্ডের সঙ্গে বেশি মানান সই। বিশ্বকাপ কিংবা অন্য বড় টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবেই নামে ইংল্য়ান্ড। শক্তির নিরিখে এ বারও তাদের জেতার সম্ভাবনা দেখছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। তারুণ্যের পাশাপাশি অভিজ্ঞতার অভাব নেই ইংল্যান্ড শিবিরে। গ্রুপ পর্ব এবং শেষ ষোলো মিলিয়ে এক ডজন গোল করেছে ইংল্যান্ড। বুকায়ো সাকা, মার্কাস ব়্যাশফোর্ড, জুড বেলিংহ্যাম, ফিল ফডেনের মতো তরুণরা দারুণ ছন্দে। তেমনই অধিনায়ক হ্যারি কেন গ্রুপ পর্বে তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন। তাঁর কাছে গোলের প্রত্যাশা ছিল। শেষ ষোলোতে সেই প্রত্যাশাও পূরণ করেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপের সর্বাধিক গোল স্কোরার। দলের রক্ষণভাগকেও কৃতিত্ব দিতে হবে শেষ আটে যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে। রক্ষণে অনবদ্য পারফর্ম করছেন হ্যারি ম্যাগুয়েররা। রাশিয়া বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি হবে না এমনটাই বিশ্বাস হ্যারির। কী বলছেন ইংল্যান্ড রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ? তুলে ধরল TV9Bangla

রাশিয়া বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড। ১৯৯০’র পর ফের এক বার সেমিফাইনাল। যদিও ক্রোয়েশিয়ার কাছে সেই পর্বেই হার এবং ট্রফি জয়ের প্রত্যাশা ভঙ্গ। এ বার সেমিফাইনালের রাস্তায় আরও কঠিন প্রতিপক্ষ। শেষ আটে গত বারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে নামছে ইংল্যান্ড। ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়েরের বিশ্বাস, শেষ আটে ‘অঘটন’ হতেই পারে। রাশিয়া বিশ্বকাপের তুলনায় এ বারের দল অনেক বেশি পরিণত বলেও মনে করেন। হ্যারি বলছেন, ‘একটা বিষয় নিশ্চিত করতে পারি, ২০১৮-র তুলনায় এ বারের দল আলাদা। গত বার সেমিফাইনাল খেলেছি। দলের সকলেই খুশি ছিল। দেশে ফিরে নায়কের সম্মান পেয়েছি। প্রত্যেকে ভরসা দিয়েছে। এ বার সেই বিশ্বাস রয়েছে, আমরা ট্রফি জিতেই ফিরতে পারি।’

এক বারই বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্য়ান্ড। সেই ১৯৬৬ সালে। এ বারের শুরুটা অনবদ্য হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ৬-২ জয়। যদিও দ্বিতীয় ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করায় প্রবল সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে। তরুণ ফুটবলার ফিল ফডেনকে পর্যাপ্ত সুযোগ না দেওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন। ক্লাব ফুটবলে দারুণ ছন্দে থাকা ফডেনকে তৃতীয় ম্য়াচে শুরু থেকে খেলানো হয়। ওয়েলসের বিরুদ্ধে ব়্য়াশফোর্ডের জোড়া গোল এবং ফডেনের গোলের সৌজন্যে ৩-০ জেতে ইংল্যান্ড। শেষ ষোলোয় সেনেগালকেও ৩-০ ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড। জর্ডন হেন্ডারসন, বুকায়ো সাকা এবং অধিনায়ক হ্যারি কেন গোল করেন। লড়াই কঠিন হলেও ফ্রান্সকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে আত্মবিশ্বাসী হ্যারি। বলছেন, ‘লড়াই কতটা কঠিন হতে চলেছে এ বিষয়ে পুরোপুরি ধারনা রয়েছে। পাঁচ-ছটি দল বিশ্বকাপ জয়ের বিশ্বাস নিয়েই এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০১৮ সালে আমরা হয়তো তাদের মতো ছিলাম না। এখন আমাদের সেই বিশ্বাস রয়েছে।’