Loose Motion: ফুচকা খেয়ে লুজ মোশন হয়েছে? এই ৫ পানীয়তে চুমুক দিলে বার বার বাথরুম যেতে হবে না

Diarrhea: রাস্তায় লেবুর জল, ফুচকা, লস্যি, ফলের রস ইত্যাদি খেলে পেট খারাপের সম্ভাবনা বাড়ে। আর লুজ মোশন হলে শরীরও কাহিল হয়ে পড়ে। বার বার বাথরুমে ছুটতে হয়। পাশাপাশি পেটে বার বার মোছড় দিয়ে ওঠে। এই সময় সবচেয়ে ভাল কাজ করে ওআরএস-এর জল।

Loose Motion: ফুচকা খেয়ে লুজ মোশন হয়েছে? এই ৫ পানীয়তে চুমুক দিলে বার বার বাথরুম যেতে হবে না
Follow Us:
| Updated on: May 08, 2024 | 11:43 AM

গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগায় ডায়ারিয়ার সমস্যা। রাস্তায় লেবুর জল, ফুচকা, লস্যি, ফলের রস ইত্যাদি খেলে পেট খারাপের সম্ভাবনা বাড়ে। আর লুজ মোশন হলে শরীরও কাহিল হয়ে পড়ে। বার বার বাথরুমে ছুটতে হয়। পাশাপাশি পেটে বার বার মোছড় দিয়ে ওঠে। লুজ মোশনে শরীর থেকে জল ও খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। এই সময় সবচেয়ে ভাল কাজ করে ওআরএস-এর জল। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে, ওআরএস-এর জল ছাড়াও আরও ৫টি পানীয় লুজ মোশনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে।

লেমনেড বা লেবুর জল: গরমে লেবুর জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং ডায়ারিয়া ও লুজ মোশনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন সি থাকা এই পানীয় অন্ত্রের পিএইচ লেভেলের ভারসাম্য বজায় রাখে। যে ব্যাকটেরিয়া ডায়ারিয়ার জন্য দায়ী সেগুলো দূর করে লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড। এক গ্লাস জলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে খান।

ডাবের জল: হজমজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক ডাবের জল। এই পানীয় পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের প্রাকৃতিক উৎস। ডাবের জল ডায়ারিয়ার কারণে হওয়া ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দূর করে। এছাড়াও এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হজম স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। সবচেয়ে চেষ্টা করুন তাজা ডাবের জল খাওয়ার।

এই খবরটিও পড়ুন

কলার স্মুদি: লুজ মোশন হলে খাওয়ার ইচ্ছেও চলে যায়। এই সময় পেট ভরাতে এবং শরীরে এনার্জি ফিরিয়ে আনতে কলার স্মুদি খান। পটাশিয়াম, প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও ফাইবারে পরিপূর্ণ হয় কলা। এটি পাচনতন্ত্রের উপর সৃষ্টি হওয়া চাপ কমায়। এছাড়া অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে এই স্মুদি। তবে, স্মুদি বানাতে গরুর দুধ নয়, আমন্ড মিল্ক কিংবা টক দই ব্যবহার করুন।

বাটারমিল্ক: প্রোবায়োটিকে ভরপুর হল বাটারমিল্ক। অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে এই পানীয়। এছাড়াও বাটারমিল্ক বা ঘোলের মধ্যে পটাশিয়াম ও ক্যালশিয়াম রয়েছে, যা ডায়ারিয়া থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। ডায়ারিয়ার পাশাপাশি ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোমের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় বাটারমিল্ক।

ভাতের ফ্যান: ডায়ারিয়া হলে খাবার খাওয়ার প্রতি অনীহা তৈরি হয়। এই সময় ভাতের ফ্যান খেতে পারেন। এটি পেটকে আরাম দেবে। পাশাপাশি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখবে। এমনকি লুজ মোশন কমাতেও সাহায্য করবে। ডায়ারিয়াতে ভাতের ফ্যান খেলে বার বার বাথরুম যেতে হবে না এবং শরীর হাইড্রেটেড থাকবে। ভাতের ফ্যান না খেলে পান্তা ভাতও খেতে পারেন।