ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচ ভারতীয় ফুটবলের কতটা উন্নতি করেছেন, এ নিয়ে গবেষণা জরুরি। দেশের মাটিতে ট্রফি জিতলেও বিদেশে ফ্লপ। অনের আশার বাণী শোনালেও কার্যক্ষেত্রে ভারতীয় ফুটবল টিমের যেন অবনতিই হয়েছে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছে ভারত। দীর্ঘ সময় স্টিমাচে আস্থা রাখা হলেও অবশেষে তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা। স্টিমাচ ভারতীয় ফুটবলের কী উন্নতি করেছেন এটা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও তাঁর দেশে গিয়ে দাপট দেখাল তিন ভারতীয় ফুটবলারই। ভারতীয় ফুটবল ত্রয়ীর সৌজন্যে প্রথম বার ট্রফির স্বাদ পেল ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব ডায়নামো জাগরেভ।
সদ্য ক্রোয়েশিয়া উইমেন্স ফুটবল কাপ জিতেছে ডায়নামো জাগরেভ। প্রথম বার এই ট্রফি জয়ের স্বাদ। আর এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন তিন ভারতীয় ফুটবলার জ্যোতি চৌহান, এমকে ক্যাসমিনা, কিরন পিসদা। ক্রোয়েশিয়া উইমেন্স ফুটবলে হইচই পড়ে গিয়েছে এই তিন ভারতীয় তরুণীকে নিয়ে। ট্রফির ম্যাচ ছিল এমন একটা টিমের সঙ্গে, যারা এই টুর্নামেন্ট ১৯ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে! তাদের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ১-১ থাকে। টাইব্রেকারে জেএনকে ওসিজেককে ৫-৪ ব্যবধানে হারায় জাগরেভ।
মণিপুরের ফুটবলার ক্যাসমিনা ফাইনালে অনবদ্য পারফর্ম করেন। গত কয়েক মরসুম ধরেই ভারতীয় ফুটবলারদের দিকে আগ্রহ বাড়িয়েছে ক্রোয়েশিয়ার ডায়নামো জাগরেভ। ২০২২ সালে জ্যোতি চৌহান ও সৌম্যা গুগুলোথ সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর কিরন ও ক্যাসমিনহাও সুযোগ পান। ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন জ্যোতি, ক্যাসমিনা ও কিরন।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে ক্যাসমিনা বলেন, ‘ট্রফি জয় বরাবরই বিশেষ অনুভূতি হয়। আমাদের ক্লাব আগে কখনও জেতেনি। সে কারণেই আরও বেশি আনন্দ হচ্ছে। ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগেও গোল করেছি। তবে ক্রোয়েশিয়ার ক্লাবের হয়ে জয়ে অবদান রাখতে পারা আরও বেশি ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, আমরা ইতিহাস গড়েছি।’ ফাইনালে পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন ক্যাসমিনা। জ্যোতি ও কিরন পুরো ম্যাচেই খেলেন। কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালের মতো হাইভোল্টেজ ম্যাচে গোলও করেছেন জ্যোতি ও ক্যাসমিনা।