ব্যারাকপুর: কলকাতা লিগের প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল মোহনবাগান। রিজার্ভ দলের কোচ বদল হলেও, ফলাফলে কোনও পরিবর্তন হল না। গতবারও কলকাতা লিগে আশানুরূপ ফল হয়নি মোহনবাগানের। মঙ্গলবার লিগের প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী ভবানীপুর ফুটবল ক্লাবের মুখোমুখি হয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ব্যারাকপুরে প্রিয় দলের খেলা দেখতে ভিড় জমান বাগান সমর্থকরাও। লিগ অভিযানে ভবানীপুরের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করল মোহনবাগান। দুটো গোলই হয় খেলার প্রথমার্ধে।
খেলার ৮ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে গোল করে মোহনবাগানকেও এগিয়ে দেন মণিপুরি মিডফিল্ডার শিবাজিৎ সিং (১-০)। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি মোহনবাগান। ২৯ মিনিটেই ভবানীপুরকে সমতায় ফেরান জিতেন মুর্মু (১-১)। খেলার ৪০ মিনিটে গুরুতর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ভবানীপুরের সফিকুল রহমান। ম্যাচের মাঝেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আইএফএ সচিব জানান, তিনি স্থানীয় হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছেন। সফিকুল স্থিতিশীল আছেন।
ম্যাচের পর মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজো বলেন, ‘দলের খেলায় আমি একদমই সন্তুষ্ট নই। এরকম ফল প্রত্যাশিত নয়। ছেলেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব রয়েছে। দেরিতে অনুশীলন শুরু করায় এখনও সেভাবে বোঝাপড়া তৈরি হয়নি। বেশ কিছু নতুন ফুটবলারও স্কোয়াডে এসেছে। আরও কিছুদিন অনুশীলনের পর ফুটবলারদের মধ্যে তালমিল গড়ে উঠবে। গত মরসুম দেরিতে শেষ হওয়ায় অনেক ফুটবলারদের বিশ্রাম দিতে হয়েছিল। তাই লিগের প্রথম ম্যাচের আগে অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাইনি। আমি আশা রাখি, পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াব। ভুল থেকেই আমরা শিক্ষা নিই।’
বাগানের সেনসেশন দীপেন্দু বিশ্বাসকে এদিন স্কোয়াডে দেখা না যাওয়ায় জল্পনা বাড়ে। বাগান কোচ বলেন, ‘পরের ম্যাচ থেকে দীপেন্দুকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। ওর ফিটনেস সমস্যা ছিল। তাই এই ম্যাচে ওকে খেলানো হয়নি।’ এদিকে ম্যাচের রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভবানীপুরের কোচ সৈয়দ রমন।