EURO 2020 : স্টার্লিংয়ের পায়ে বন্দুক!

মাত্র ৫ বছর বয়সে রাহিমকে নিয়ে লন্ডনে চলে আসেন মা। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে শুরু রাহিমের বেড়ে ওঠা। ফুটবল। ওয়েম্বলির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বই থাকতেন স্টার্লিং। স্বপ্ন দেখতেন ফুটবলকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার। বাবার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রাহিম চেয়েছিলেন, যদি শ্যুট করেন তবে তা ট্রিগার টিপে নয়। করবেন পা দিয়েই।

EURO 2020 : স্টার্লিংয়ের পায়ে বন্দুক!
স্টার্লিংয়ের পায়ে বন্দুক ট্যাটুর রহস্য কি?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 03, 2021 | 11:05 AM

রোমঃ বিপক্ষের বক্সের সামনে সারাক্ষণ ছটফট করছেন। অপেক্ষায় থাকেন একটা বলের। বল পায়ে পড়লেই গতি বেড়ে যায় কয়েকগুণ।আর গোলমুখে শটগুলো আছড়ে পড়ে গোলার মত। তিনি রাহিম স্টার্লিং (RAHEEM STERLING)। এই ইউরোতে ইংল্যান্ডের (ENGLAND) আপফ্রন্টের সবচেয়ে বড় ভরসার নাম। ইতিমধ্যেই ৪ ম্যাচে ৩ গোল করেছেন। ইউক্রেনের (UKRAINE) বিরুদ্ধেও গ্যারেথ সাউথগেটে (GARETH SOUTHGATE)বিপক্ষের জালে জাল জড়ানোর জন্য ভরসা রাখছেন এই ম্যান সিটির (MANCHESTER CITY) স্ট্রাইকারের ওপরেই। গোলের সঙ্গে বিতর্কও যে সঙ্গী স্টার্লিংয়ের। কিন্তু কেন স্টার্লিংকে ঘিরে বিতর্ক?

২৬ বছরের স্টার্লিংয়ের ডানপায়ে একটি ট্যাটু রয়েছে। বিতর্কের সূত্রপাত সেখানেই। একটি M16 অটোমেটিক Assault রাইফেলের ট্যাটু সেটি। কিন্তু ইংল্যান্ডের গোলমেশিনের পাশে এরকম বন্দুক কেন ট্যাটুতে??এই প্রশ্ন তুলে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মুন্ডপাত করেছে স্টার্লিংয়ের। অভিযোগ করা হয়, স্টার্লিং নাকি বন্দুকের প্রচার করছেন। একসময় সেই সমালোচনা এমন পর্যায়ে পৌঁছয়, যে সমস্যার মুখে পড়তে থাকে স্টার্লিংয়ের ব্যক্তিগত জীবনও।তবে কারন কি জানেন এরকম ট্যাটুর?

স্টার্লিংয়ের জন্ম জমাইকার কিংস্টনে। যে শহরে জন্ম হয়েছে ক্রিকেট দিকপালদের। ততা অতীতে হোল্ডিং কিংবা ওয়ালশ হোন। বা আজকের ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেলরা।সবারই উত্থান এই জামাইকা থেকেই। স্টার্লিংয়ের যখন ২ বছর বয়স, তখন দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন স্টার্লিংয়ের বাবা। স্টার্লিংয়ের মা নাদিন ক্লার্ক ছিলেন জামাইকা জাতীয় দলের অ্যাথলিট। বাবার মৃত্যুর পর দিশেহারা হয়ে যায় পরিবার। ছেলেকে বাঁচাতে দেশ ছাড়েন নাদিন। মাত্র ৫ বছর বয়সে রাহিমকে নিয়ে লন্ডনে চলে আসেন মা। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে শুরু রাহিমের বেড়ে ওঠা। ফুটবল। ওয়েম্বলির থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বই থাকতেন স্টার্লিং। স্বপ্ন দেখতেন ফুটবলকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার। বাবার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে রাহিম চেয়েছিলেন, যদি শ্যুট করেন তবে তা ট্রিগার টিপে নয়। করবেন পা দিয়েই। মাত্র ১৬ বছর বয়সে লিভারপুলের যুবদলে সুযোগ। ২ বছরের মধ্যে সিনিয়র দলে। সেেখান থেকে আজ ম্যানচেস্টার সিটিতে। এভাবেই যাবতীয় বিতর্কের জবাব দিয়েছেন।আরও দিতে চান। কারন শুধু তো বন্দুকের ট্যাটু নয়, ফর্মও প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল স্টার্লিংকে নিয়ে।

  যেভাবে টিনএজার স্টার্লিং হেলায় গোল মিস করতেন,তাতে নিন্দার ঝড় উঠেছিল সর্বত্র।কেন তাঁকে রাখা হবে জাতীয় দলে, এইপ্রশ্নও উঠতে শুরু করেন। বিতর্কে বিধ্বস্ত স্টার্লিংয়ের পাশে পেলেন দুই কোচকে। গ্য়ারেথ সাউথ গেট ও ম্যান সিটি কোচ পেপ গুয়ার্দিওয়ালা। বদলাতে শুরু করল ইংল্যান্ড স্ট্রাইকারের জীবন। আমূল বদলে ফেলেছেন নিজেকে। যার ফল হাতেনাতে পাচ্ছেন ইউরোর মঞ্চে।

পাবলিক রিলেসন গুরুরা বলছেন স্টার্লিং হতে চলেছে নেক্সট ডেভিড বেকহাম   ছুটছেন স্টার্লিং   নিন্দার গুলির থেকেও দ্রুতগতিতে 

আরও পড়ুন: EURO 2020 : মিউনিখের আকাশ আজ গাঢ় নীল, বিদায় নিল ‘ফার্স্ট বয়’