আর একটা রাত। রবিবার বহু অপেক্ষার কলকাতা ডার্বি। যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে আবারও মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান। বাংলা ও বাঙালির প্রিয় বড় ম্যাচ। এই দিনের আমেজই আলাদা। মরসুমের প্রথম আইএসএল ডার্বি ড্র হয়েছিল। ফলে এই ডার্বি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এমনটাই প্রত্য়াশা। ম্যাচের আগে অবশ্য নানা সমস্যা এবং বিতর্কে ডার্বির উত্তাপ আরও বেড়েছে। এই ম্যাচ দেখতে মুখিয়ে থাকবেন বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তি প্রাক্তন পেসার ঝুলন গোস্বামী। আচ্ছা তিনি কি ফুটবল দেখেন? কার সাপোর্টার বাংলার গর্ব? রবিবারের ডার্বিতে কার জয় চাইবেন! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ক্রিকেট এবং ফুটবলের পরোক্ষ একটা সম্পর্ক রয়েছে। ক্রীড়াবিদদের মধ্যে অন্য ক্রীড়ার প্রতি সম্মান, আকর্ষণ থাকবে এমনটাই প্রত্যাশিত। ঝুলনের মতো কিংবদন্তির ফুটবলের প্রতি আলাদা টান আছে। রবিবারের ডার্বি নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছেন তিনিও। চলছে উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর ঝুলন গোস্বামী। গত বারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এ বারও দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। মাঠের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ঝুলন গোস্বামীর। ডার্বি নিয়ে আইএসএলের ওয়েবসাইটে নানা বিষয়েই কথা বলেছেন ঝুলন।
কিংবদন্তি পেসারের কথায় উঠে এসেছে ফুটবল, ডার্বি এবং ইস্টবেঙ্গল নিয়ে মুগ্ধতা। ক্রিকেটার না হলে হয়তো ফুটবলকেই কেরিয়ার বানাতেন ঝুলন। নিয়মিত খেলা দেখেন। এ বারের ডার্বিতে হয়তো চোখ থাকবে। কলকাতা ডার্বিই যে সেরা, তা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন ঝুলন। বলছেন, ‘ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতা। মাঠে গিয়ে এই ম্যাচ না দেখলে অনুভব করা কঠিন। ডার্বির উন্মাদনা ভাষায় বোঝানো যায় না। আমরা অন্য দেশের ডার্বি নিয়ে কথাই বলি। আমার কাছে কলকাতা ডার্বিই সেরা।’
বাংলার হয়ে খেলোয়াড় জীবনে ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের সঙ্গেও ডার্বি উপভোগ করেছেন, জানালেন ঝুলন। মজার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ঝুলনের কথায়, ‘ড্রেসিংরুমে অনেকেই মোহনবাগানের সমর্থক ছিলেন। টিভির সামনে খেলা দেখতে বসে মারপিটও করেছি। সে কারণে একসঙ্গে ডার্বি দেখতে চাইতাম না। দু-দলের সমর্থকদের এই আবেগ আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
ঝুলন কার সমর্থক বোঝা গেল? আরও একটু পরিষ্কার করা দরকার। আর এটা পরিবারের থেকেই পাওয়া। ঝুলনের পরিবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। ঝুলনও তাই। ডার্বিতে তাঁর সেরা মুহূর্তের কথাও শোনালেন। বলছেন, ‘আমার পরিবারের সকলেই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। ওদের দেখে আমিও ইস্টবেঙ্গলকেই সমর্থন করে এসেছি। ১৯৯৭ সালের ফেডারেশন কাপ ডার্বিতে বাইচুং ভুটিয়ার হ্যাটট্রিক, বড় ম্যাচে আমার সেরা মুহূর্ত। ইস্টবেঙ্গল ৪-১ জিতেছিল।’
এ বারের ডার্বিতে কী হতে পারে? ডার্বির ফল যাই হোক বর্তমান কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে আরও সময় দেওয়া উচিত বলে মনে করেন ঝুলন। তাঁর কথায়, ‘শুধু এ মরসুমের পারফরম্যান্স দিয়ে কুয়াদ্রাতকে বিচার করা যাবে না। একযুগ পর সর্বভারতীয় ট্রফি জিতেছি (সুপার কাপ)। সেই মর্গ্যানের সময় ফেড কাপ জিতেছিলাম। আবার ট্রফি জেতা শুরু করেছি। এটাই তো ভালো দিক।’