AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

PARIS 2024: ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অলিম্পিকে নামলেন কিভাবে, খেলার দুনিয়া তোলপাড়

Paris Olympics 2024: ইজিপ্টের ফেন্সার নাদা হাফেজের একটি ইন্সটাগ্রাম পোস্ট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে খেলার দুনিয়ায়। মেয়েদের সাবের ইভেন্টের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওন হেইংয়ের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছেন। ফেন্সিংয়ের মতো খেলায় ঝুঁকি কম নেই। শারীরিক কসরৎও কম হয় না এতে। তা হলে কী করে নাদা খেললেন?

PARIS 2024: ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অলিম্পিকে নামলেন কিভাবে, খেলার দুনিয়া তোলপাড়
Image Credit: INSTAGRAM
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2024 | 1:15 PM
Share

প্যারিস: এও কি সম্ভব? এই প্রশ্ন নিয়ে তোলপাড় চলছে প্যারিস অলিম্পিকে। এমনিতে এ বারের অলিম্পিক ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। অকস্মাৎ হানায় থমকে গিয়েছিল ফ্রান্সের রেল পরিষেবা। শ্যেন নদীর জলের দূষণমাত্রা আচমকাই বেড়ে যাওয়া। মেয়েদের বক্সিংয়ে লিঙ্গ বিতর্কে থাকা দুই বক্সারকে অলিম্পিকে নামার অনুমতি দেওয়া। একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। তার মধ্যে আবার জানা গেল এক বিস্ফোরক তথ্য। যা নিয়ে চলছে তোলপাড়। এক সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলা অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছেন। যা ঘিরে বিতর্কের পাশাপাশি হইচইও কম নেই। ওই অ্যাথলিট কি অলিম্পিকের নিয়ম মানেননি? লুকিয়ে নেমেছিলেন অলিম্পিকে?

ইজিপ্টের ফেন্সার নাদা হাফেজের একটি ইন্সটাগ্রাম পোস্ট নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে খেলার দুনিয়ায়। মেয়েদের সাবের ইভেন্টের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার জিওন হেইংয়ের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছেন। ফেন্সিংয়ের মতো খেলায় ঝুঁকি কম নেই। শারীরিক কসরৎও কম হয় না এতে। তা হলে কী করে নাদা খেললেন? ইন্ডিয়ান্স এক্সপ্রেসকে এ নিয়ে বক্তব্যও দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। ঘটনা কী? সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সত্ত্বেও নাদাকে ইজিপশিয়ান ফেন্সিং কমিটি অলিম্পিকে খেলার ছাড়পত্র দিল কেন?

নাদা হাফেজ ইন্সটাগ্রামে লিখেছেন, ‘আমি আমার বাচ্চা দু’জনেই শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জ সামলেছি। খেলার সঙ্গে জীবনের তালমেল রাখতে কিন্তু সমস্যা হয়নি। অলিম্পিকের আসরে রাউন্ড সিক্সটিন পর্যন্ত যাওয়া খুব গর্বের। সেটাই বোঝানোর জন্য এই পোস্টটা করলাম।’

ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে এখান থেকেই। ফেন্সিংয়ের মতো ইভেন্টে যথেষ্ট গার্ড থাকে। ১২ কেজি ওজনের ঘুষি নিতে পারে, এমন মাস্ক পরেন অ্যাথলিটরা। ঘাড়ে থাকে গার্ড। ফেন্সিং জ্যাকেট। আবার মেয়েদের জন্য আলাদা করে থাকে চেস্ট প্রোটেক্টর। যা জ্যাকেটের তলায় পরাটা বাধ্যতামূলক। প্রশ্ন হল, তা কি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে বাঁচানোর মতো যথেষ্ট। এই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে অলিম্পিককে।

অন্তঃসত্ত্বা মহিলার অলিম্পিকে নামা নিয়ে কোনও নিয়ম আছে কী? আইওসির মুখপাত্র বলছেন, ‘অলিম্পিকে কোন অ্যাথলিট নামবে, কী হবে তার যোগ্যতামান, এ সব ঠিক করে সেই খেলার আন্তর্জাতিক ফেডারেশন। সেটাই মেনে চলে জাতীয় সংস্থাগুলো।’ আন্তর্জাতিক ফেন্সিং ফেডারেশন আবার বলছে, ‘আন্তর্জাতিক ফেন্সিং ফেডারেশন তো বটেই, ইজিপশিয়ান জাতীয় সংস্থার অন্তঃসত্ত্বা মহিলার অলিম্পিকে নামার ব্যাপারে কোনও নিয়ম নেই।’

View this post on Instagram

A post shared by Nada Hafez (@nada_hafez)