টোকিওঃ করোনার (COVID19) অতিমারিতে গত বছর স্থগিত হয়ে গিয়েছিল টোকিও অলিম্পিক( TOKYO OLYMPIC)। আপাতত যা সূচি তৈরি হয়েছে, তাতে আগামি ২৩শে জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা টোকিও অলিম্পিকের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আতঙ্ক বেড়েছে গোটা দুনিয়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃতীয় ঢেউও বিশ্বে এসে পৌঁছবে যে কোনও দিন। তাই আতঙ্ক বাড়ছে উত্তরোত্তর। আর এই পরিস্থিতিতে অলিম্পিক কমিটির পাশে দাঁড়াল বিশ্বের ভ্যাকসিন (Vaccine) প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার(Pfizer-BioNTech) ও বায়োএনটেক।
বৃহস্পতিবার এই দুই সংস্থার সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর হল টোকিও অলিম্পিক কমিটির। অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী সব অ্যাথলিটকেই ভ্যাকসিন দেবে ফাইজার ও তাঁদের সহযোগী সংস্থা বায়োএনটেক। এই ভ্যাকসিন পাবেন প্যারা অলিম্পিকেরও সব প্রতিযোগী। শুধুমাত্র প্রতিযোগীরা নন, সাপোর্টিং স্টাফ থেকে দলের সঙ্গে আসা ক্রীড়াকর্তা, প্রত্যেককেই দেওয়া হবে ভ্যাকসিন। মৌ স্বাক্ষরের পর এমনই ঘোষণা ন্যাশানাল অলিম্পিক কমিটির।
কবে হবে অলিম্পিকের প্রতিযোগীদের এই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া? ২৩ শে জুলাই থেকে শুরু হবে অলিম্পিক। তার আগেই অংশগ্রহণকারী দেশের অ্যাথলিটদের সেই দেশেই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবে ফাইজার ও বায়োএনটেক। নিয়ম, ভ্যাকসিন নিয়েই প্রতিযোগীরা আসতে পারবেন জাপানে।
চুক্তি সইয়ের পর আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থার প্রধান টমাস বাখ জানিয়েছেন, তাঁদের এবার মূল লক্ষ্য, টোকিও অলিম্পিককে সুস্থ পরিকাঠামোর মধ্যে আয়োজন করা। টমাস বাখস জানিয়েছেন, ” অনেক ক্রীড়াবিদই রয়েছে, যাঁরা দেশের রোলমডেল। তাঁরা ভ্যাকসিন নিলে দেশের মানুষের কাছে ভ্যাকসিন নিয়ে এক ইতিবাচক বার্তা দেওয়া যাবে সমাজের কাছে।”