ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু হওয়ার এক বছরের মধ্যে ৪ কোটি স্মার্টফোন ইউজার এই পরিষেবার আওতায় আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি Ericsson Consumer Lab- এর একটি সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৯ সালে ৫জি পরিষেবা চালু হওয়ার আগেই দেখা গিয়েছিল ১৪ শতাংশ স্মার্টফোন ইউজার এই পরিষেবা নিতে ইচ্ছুক। বর্তমানে সেই শতাংশ একলাফে বেড়ে ৬৭- তে পৌঁছেছে। এই ৬৭ শতাংশ স্মার্টফোন ইউজার এখন ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। পরিষেবা চালু হলেই এই নির্দিষ্ট সংখ্যক স্মার্টফোন ইউজার তা ব্যবহার করতে চান।
এরিকসন ইন্ডিয়ার প্রধান এবং নেটওয়ার্ক সলিউশন এরিকসন (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ওশিয়ানিয়া এবং ভারত)- এর প্রধান নিতিন বনসল জানিয়েছেন, আপাতত ভারতের বিভিন্ন সার্ভিস প্রোভাইডাররা ৫জি পরিষেবা চালু করার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছে। এই অবস্থায় নতুন যে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে তা ওইসব সার্ভিস প্রোভাইডারদের উৎসাহ দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবহার কমানোর জন্য ৪জি ব্যবহারকারীদের তুলনায় ৫জি ইউজারদের প্রতি সপ্তাহে (প্রাথমিক পর্যায়ের) গড়ে ক্লাউড গেমিংয়ে ২ ঘণ্টা এবং অগমেন্টেড রিয়ালিটি (এআর) অ্যাপসের ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় দিতে হবে।
তবে ইন্টারনেট স্পিড নিয়ে ৫জি ইউজাররা খুশি হলেও, প্রায় ৭০ শতাংশ ইউজার একটি বিষয়ে খুশি হননি। উন্নত ধরণের সার্ভিস এবং নতুন অ্যাপ পাওয়া ক্ষেত্রে ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের। এই প্রসঙ্গে ইউজাররা এও জানিয়েছেন যে, ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি টাকা দিতেও তাঁরা রাজি। কিন্তু তাহলে ডিজিটাল সার্ভিসের ব্যাপারে ৫জি পরিষেবা আরও উন্নত হতে হবে।
আরও পড়ুন- রেডমি নোট ১০এস- এর সঙ্গেই লঞ্চ হয়েছে রেডমি ওয়াচ, ১১ রকমের স্পোর্টস মোড রয়েছে এই স্মার্টওয়াচে
ভারতের ৫জি ইউজারদের (প্রাথমিক পর্যায়ের) প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন ভাবছেন ৪জি থেকে অনেক বেশি হাই-স্পিড ইন্টারনেট পাবেন। আর প্রতি ১০ জনে ৬ জন ভাবছেন ৪জি- র তুলনায় খরচ অনেকটা বেড়ে যাবে। তার পাশাপাশি এরা এটাও ভাবছেন যে, হয়তো কমিউনিকেশন সার্ভিস প্রোভাইডার্স (সিএসপি)- এর মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৫জি ডেটা শেয়ারের অপশন বা একাধিক ডিভাইসের মধ্যে ইন্টারনেট শেয়ারিংয়ের অপশন পাওয়া যাবে।