Swift গাড়িকে Lamborghini-র রূপ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে উপহার অসমের যুবকের
Himanta Biswa Sarma News: পুরনো একটি Maruti Suzuki Swift গাড়িকে লাগজ়ারি ভার্সনের Lamborghini-র রূপ দিয়েছেন হক। সম্প্রতি তিনি করিমগঞ্জ থেকে গুয়াহাটি পৌঁছে গিয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে উপহারটি পৌঁছে দিতে। নুরুল এবং তাঁর এই উপহারটি দেখা মাত্রই উচ্ছ্বসিত হয়ে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
Modified Lamborghini: মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে ল্যাম্বর্ঘিনি রেপ্লিকা উপহার দিলেন রাজ্যের এক ব্যক্তি। 31 বছরের ওই ব্যক্তির নাম নুরুল হক। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ওই ব্যক্তিকে বলছেন, “গাড়ির উদ্ভাবক”। কেন তিনি এমন আখ্যা দিলেন? অসমের ভাঙা বাজার এলাকায় গ্যারাজ রয়েছে নুরুল হকের। চারমাস ধরে লাগাতার পরিশ্রম করার পর তিনি একটি মারুতি সুইফ্ট গাড়িকে মডিফাই করে ল্যাম্বর্ঘিনির রূপ দিয়েছেন। এই প্রজেক্ট ছিল তাঁর কাছে স্বপ্নের। কারণ, ছোট থেকেই তিনি একটি ল্যাম্বর্ঘিনি গাড়িতে চড়তে চেয়েছিলেন। আর সেই স্বপ্নপূরণ হতেই তা তুলে দিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার হাতে।
Delighted to receive a modified Lamborghini lookalike car from innovator Nurul Haque of Anipur, Karimganj.
My best wishes to him in all his future endeavours. pic.twitter.com/TWAJ8o9AqV
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) December 3, 2022
31 বছরের নুরুলের এহেন প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন হিমন্ত। টুইটারে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “ল্যাম্বর্ঘিনির মতো দেখতে এমন একটা মডিফায়েড গাড়ি পেয়ে আমি খুব খুশি। এর উদ্ভাবক করিমগঞ্জের আনিপুরের নুরুল হক। তাঁর ভবিষ্যতের জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা।”
পুরনো একটি মারুতি সুজ়ুকি সুইফ্ট ডিজ়ায়ার গাড়িকে লাগজ়ারি ভার্সনের ল্যাম্বর্ঘিনির রূপ দিয়েছেন হক। সম্প্রতি তিনি করিমগঞ্জ থেকে গুয়াহাটি পৌঁছে গিয়েছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে উপহারটি পৌঁছে দিতে। নুরুল এবং তাঁর এই উপহারটি দেখা মাত্রই উচ্ছ্বসিত হয়ে যান অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এর আগেও সিলচরের কাছার জেলার প্রশাসনিক দফতরে গিয়ে হকের এই ল্যাম্বর্ঘিনি গাড়িটি একবার দেখেছিলেন। সে সময়ই অসমের মুখ্যমন্ত্রী নুরুলকে জানিয়েছিলেন যে, এই প্রয়াস তাঁর খুবই ভাল লেগেছে। তারপরই নুরুল হক ভেবেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকেও এরকম একটা মডিফায়েড ল্যাম্বর্ঘিনি উপহার দেবেন।
গতবার কোভিড লকডাউনের সময়ই সুইফ্ট ডিজ়ায়ার গাড়িকে ল্যাম্বর্ঘিনির রেপ্লিকায় পরিণত করার কথা ভেবেছিলেন 31 বছরের নুরুল হক। কারণ, সে সময় কাজ করার মতো তাঁর কাছে কিছু ছিল না। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। সেকেন্ড হ্যান্ড মারুতি সুইফ্ট কিনে ফেলেন এবং গাড়িটির বডি ফ্রেম সম্পূর্ণ ভাবে খুলে দেন। তারপর এক-এক করে বিভিন্ন বডি পার্টস বিল্ড করতে শুরু করেন। ইউটিউব দেখে ল্যাম্বর্ঘিনির মতোই বডি পার্টস তৈরি করেন তিনি।
তবে তাঁকে হোঁচট খেতে হয়েছিল র মেটিরিয়াল কিনতে গিয়ে। নুরুল হকের কথায়, “আমি কখনও ভাবতে পারিনি র মেটিরিয়ালগুলি এতটা দামি হয়ে যাবে। ইঞ্জিন কেনা থেকে সেটিকে ফাইনাল শেপে নিয়ে যাওয়া ইস্তক আমাকে 6 লাখ 20 হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছিল।” সব মিলিয়ে এই গাড়ি তৈরি করতে তাঁকে 10 লাখ টাকা খরচ করতে হয়েছিল।
এবার হক একটি মডিয়াফেয়াড ফেরারি গাড়ি তৈরি করতে চান। সংবাদ সংস্থা ANI-এর কাছে তিনি দাবি করেছেন, “এই ধরনের আরও প্রজেক্ট নিয়ে আমি কাজ করব, যদি সরকার সাহায্যের হাতটা বাড়িয়ে দেয়।”