GoZero Switch Campaign: ধুলো জমা পুরনো সাইকেলটা বদলে E-Cycle পাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ! গোজ়িরো মোবিলিটির এই অফার সম্পর্কে জেনে নিন
GoZero Mobility Exchange Offer: প্রথাগত পুরনো সাইকলে বদলে একটি নতুন ইলেকট্রিক বাইসাইকেল আপনার হাতে তুলে দেবে এই ব্রিটিশ সংস্থা। ১০ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সাইকেল বদলানোর জন্য হাতে তিন মাস সময় পেয়ে যাবেন।
বাইক কিনেছেন, কিনেছেন গাড়ি। কিন্তু গ্যারাজের সেই ধুলো জমা, চাকার হাওয়া কমে যাওয়া, ধ্যারধ্যারে গোবিন্দপুরের সাইকেলটি এখনও বিক্রি করেননি? আপনার সেই ‘পুরাতন ভৃত্যে’র বড় মূল্য দিতে চলেছে ব্রিটিশ ইলেকট্রিক বাইসাইকেল প্রস্তুতকারক সংস্থা গোজ়িরো মোবিলিটি (GoZero Mobility)। প্রথাগত পুরনো সাইকলে বদলে একটি নতুন ইলেকট্রিক বাইসাইকেল আপনার হাতে তুলে দেবে এই ব্রিটিশ সংস্থা।
১০ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হয়েছে গোজ়িরো-র একটি নতুন ক্যাম্পেন, যার নাম সুইচ (Switch)। ৯ এপ্রিল, ২০২২ পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। গোজ়িরো-র এই ক্যাম্পেনেই কাস্টমারদের পুরনো সাইকেল বদলে একটি নতুন ইলেকট্রিক বাইসাইকেল দেওয়া হবে। তবে তার কিছু শর্ত রয়েছে। যে কোনও ব্র্যান্ডের, যে কোনও ধরনের সাইকেল বদলে ইলেকট্রিক সাইকেল পেতে পারেন গ্রাহকরা। তবে সেই পুরনো সাইকেলের দাম হতে হবে ৭,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকার মধ্যে।
গোজ়িরো মোবিলিটর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সুমিত রঞ্জন বলছেন, “এই ক্যাম্পেনের মূল উদ্দেশ্য হল, যত সাইকেল আমরা সংগ্রহ করব, সেগুলির সব রিফারবিশ করা হবে এবং সেগুলিকে আমরাই ব্যবহার করব। তার থেকেও বড় কথা হল, এই কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে আমরা বৃহত্তর একটা দিক তুলে ধরতে চাই। এই কর্মসূচি আসলে নির্গমন-মুক্ত গতিশীলতার বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে আমাদের।”
তিনি আরও বলছেন, “কনজ়িউমাররা সব সময় আলাদা জিনিপত্রের খোঁজ করে থাকেন। সেই বিষয়টিই আমরা এই প্রচারাভিযানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রথগাত বাইসাইকেল যে সব চালকরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে চলেছেন, এবার তাঁদের নিজেদের একটু আপগ্রেডেশনের প্রয়োজন আছে। আর তার উপরে যদি তাঁরা ইলেকট্রিক সাইকেল পেয়ে যান, তাহলেই বা কেমন হয়? তা যদি গোজ়িরো-র ইলেকট্রিক বাইক হয়?”
সুমিত রঞ্জন দাবি করেছেন, পুরনো সাইকেল দিয়ে গ্রাহকরা যে ইলেকট্রিক বাইসাইকেল পেয়ে যাবেন সেগুলি গোজ়িরো-র এক্স-সিরিজের (GoZero X-Series) প্রডাক্ট। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গোজ়িরো-র বিভিন্ন রিটেল পার্টনারের কাছে যে মডেলগুলি রয়েছে সেগুলির দাম ৩৪,৯৯৯ টাকা থেকে ৪৫,৯৯৯ টাকার মধ্য়ে। হ্যাঁ, আপনার পুরাতন সাইকেলটি বদলাতে চাইলে এই দামেরই ইলেকট্রিক সাইকেল পেয়ে যেতে পারেন।
“আমাদের এক্স সিরিজের সাইকেলগুলি একজন ইউজারের কাছে রোজ চালানোর এবং অফ-রোডের সমস্ত চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। সেই সঙ্গেই আবার চালকদের ইলেকট্রিক যানবাহনের সমস্ত আপগ্রেডেড ফিচার্স এবং স্বস্তিও দিতে পারবে”, বলছেন সুমিত রঞ্জন।
গোজ়িরো-র এই প্রচারাভিযানের মূল পার্টনার হিসেবে রয়েছে, ইলেকট্রিক ওয়ান, সরধি ট্রেডার্স, গ্রেভার্স ইভি অটোমার্ট এবং আর্যেন্দ্র মোবিলিটি প্রাইভেট লিমিটেড। সুমিত রঞ্জনের কথায়, “দেশের উত্তর, দক্ষিণ এবং পশ্চিম প্রান্তের কাস্টমারদের জন্য এই অফার দিতে চলেছেন এবং তাঁদের জন্য সেরা বিকল্প কী হতে পারে, সেই সব কিছুই আমাদের পার্টনাররা খোলসা করে দেবে।”
২০১৯ সালে দুটি ইলেকট্রিক বাইক লঞ্চ করার মধ্যে দিয়ে ভারতের মার্কেটে আত্মপ্রকাশ করে ব্রিটেনের ইভি প্রস্তুতকারী সংস্থা গোজ়িরো মোবিলিটি। যে দুটি ই-বাইক সে বার সংস্থা লঞ্চ করেছিল, সেই ‘ওয়ান’ এবং ‘মিলে’-র দাম যথাক্রমে ৩২,৯৯৯ টাকা এবং ২৯,৯৯৯ টাকা।
ভারতের প্রথম ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটটি কলকাতায় খুলছে গোজ়িরো মোবিলিটি। কীর্তি সোলার লিমিটেডের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ২৫০,০০০ মার্কিন ডলার খরচ করে সেই ইলেকট্রিক ভেহিকল কারখানাটি কলকাতায় খোলা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে নতুন বছর নতুন রূপে লঞ্চ হয়েছে স্কোডা Kodiaq এসইউভি, দাম কত?
আরও পড়ুন: ৩৩,০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়ে আপনার মনপসন্দ ৭ মারুতি সুজ়ুকি গাড়ি, জানুয়ারির বিশেষ সেল
আরও পড়ুন: দেশি ইলেকট্রিক বাইক টর্ক ক্রাটোস আসছে জানুয়ারি মাসে, ডিজাইন, ফিচার্স সংক্রান্ত জরুরি তথ্য জেনে নিন