আমাদের সৌরজগতের বাইরে এক exoplanet- এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই exoplanet- এর নাম GJ 1132 b। নিজস্ব বায়ুমণ্ডল হারানোর পর নতুন করে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে এই exoplanet- এ দ্বিতীয়বার বায়ুমণ্ডল তৈরি হয়েছে। পৃথিবীর আয়তনের প্রায় সমান এই রুক্ষ পাথুরে atmosphere পৃথিবীর অরবিট থেকে ৪১ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। বিজ্ঞানীদের ধারনা, প্রথমবারের যে বায়ুমণ্ডল এই exoplanet হারিয়ে ফেলেছে, সেখানে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম গ্যাসের উপস্থিতি ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নাসার Hubble টেলিস্কোপ ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে ওই exoplanet- এ নতুন করে বায়ুমণ্ডল তৈরি হয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ওই exoplanet- এর নতুন বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, হাইড্রোজেন, মিথেন এবং হাইড্রোজেন সায়ানাইডের বিষাক্ত মিশ্রণ রয়েছে সেখানে। এছাড়াও এখানে রয়েছে aerosol haze। ফটোক্যামিকাল পদ্ধতিতে যে হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়, তাকেই বলে aerosol haze। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই exoplanet- এ একটি পাতলা আস্তরণ রয়েছে, যা কয়েকশো ফুট পুরু। সেই সঙ্গে এই গ্রহে যেহেতু অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে, তাই ওই পাতলা আস্তরণের তলায় ক্রমশ লাভার উদগীরণ হচ্ছে। যার কিছু অংশ ফাটল দিয়ে বেরিয়ে আসার ফলে এই exoplanet- এর বায়ুমণ্ডলে অসংখ্য গ্যাসের মিশ্রণ দেখা গিয়েছে।
নাসার Jet Propulsion Laboratory- র বিজ্ঞানী Raissa Estrela- এর কথায়, এইসব উপাদান খুঁজে পেয়ে তাঁরা সত্যিই চমকে গিয়েছেন। কারণ তাঁরা ভেবেছিলেন প্রথমবার বায়ুমণ্ডল খয়ে যাওয়ার ফলে তেমন কোনও উপাদান খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গিয়েছে আদৌ বিষয়টা এমন নয়। বরং নাসার Hubble টেলিস্কোপ জানান দিয়েছে যে এই exoplanet- এ যে নতুন বায়ুমণ্ডল তৈরি হয়েছে তা যথেষ্ট রহস্যজনক। নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই exoplanet GJ 1332 b আয়তন, ঘনত্ব এবং বয়সে প্রায় পৃথিবীর সমান। দুই ক্ষেত্রেই (গ্রহ ঠান্ডা অবস্থায় আসার আগে প্রাথমিক উত্তপ্ত পর্যায়ে) ছিল হাইড্রোজেন ডমিনেটেড বায়ুমণ্ডল। দু’জায়গাতেই বায়ুমণ্ডলের চাপের পরিমাণও প্রায় সমান।
তবে এখনও Hubble টেলিস্কোপের সাহায্যে এই exoplanet- এর কোনও স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়নি। তবে নাসা আশাবাদী আগামী দিনে তারা তাদের আসন্ন James Webb Space Telescope দিয়ে এই exoplanet- এর সুস্পষ্ট ছবি পেয়ে সেখানকার পরিবেশ সম্পর্কে ধারনা করতে পারবেন।