আর কোনও সমস্যা হয়নি। সফলভাবেই প্রথমবারের জন্য উড়ান নিয়েছে নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। নিখুঁত টেক-অফ আর সফল অবতরণের পর সাফল্যে খুশি বিজ্ঞানীরাও। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা অবশেষে সফল হয়েছে। এই প্রথম পৃথিবীর বাইরে এ জাতীয় কোনও কপ্টার পাঠানো হয়েছে। অনেকটা ড্রোনের মতোই মঙ্গল গ্রহে কাজ করবে Ingenuity। ছবি তুলবে লাল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের। তারপর আবার ফিরবে পৃথিবীতে। যে তথ্য নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity নিয়ে আসবে সেইসব গবেষণা করে নিঃসন্দেহে নতুন দিগন্তের আবিষ্কার করবেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সাধারণ মানুষ লাল গ্রহের সম্পর্কে অজানা সব তথ্য জানতে পারবে।
Perseverance got us to Mars. With Ingenuity, we soar higher.
The #MarsHelicopter made history today by being the first craft to achieve controlled, powered flight on a planet beyond Earth.
— NASA JPL (@NASAJPL) April 19, 2021
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, স্পেসফ্লাইটের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে Ingenuity। তাকে স্পেস ড্রোনের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছে। ৪ পাউন্ডের এই কপ্টারের চারটি কার্বন-ফাইবার ব্লেডগুলো সোমবার সকালেই ঘুরতে শুরু করেছিল। এক মিনিটে ২৫০০ বার ঘুরতে পারে এই ব্লেড, তাও আবার উল্টো দিকে। পৃথিবীতে যেসব হেলিকপ্টার রয়েছে তার থেকে Ingenuity- র গতি অন্তত পাঁচ গুণ বেশি। আর সেই জন্যেই মঙ্গল গ্রহের অত্যন্ত হাল্কা এবং পাতলা মার্সিয়ান অ্যাটমোসফিয়ারেও এই ব্লেডের ঘূর্ণণ শক্তির সাহায্যেই কপ্টার Ingenuity উড়েছে।
You wouldn’t believe what I just saw.
More images and video to come…#MarsHelicopterhttps://t.co/PLapgbHeZU pic.twitter.com/mbiOGx4tJZ
— NASA's Perseverance Mars Rover (@NASAPersevere) April 19, 2021
অভিযান যে সফল হয়েছে সেটা জানতে অবশ্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে নাসাকে। সমস্ত তথ্য সংগ্রহের পরেই নাসা জানিয়েছে যে হেলিকপ্টার Ingenuity- এর প্রথম উড়ান সফল হয়েছে। ১০ ফুট উঁচুতে উঠে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠদেশের লালচে ধুলোর ছবি তুলেছে Ingenuity। ৩০ সেকেন্ড মতো উড়েছে এই কপ্টার। এই প্রথম পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনও গ্রহের পৃষ্ঠদেশে হেলিকপ্টার উড়ল। তাও আবার এটি ছিল একটি পাওয়ার্ড এবং কন্ট্রোলড ফ্লাইট।
আরও পড়ুন- বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়েছে রোবট! মুম্বইয়ের শিক্ষকের আবিষ্কারকে কুর্নিশ নেট দুনিয়ার
নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity- র মূল কাজ হল এটা পর্যবেক্ষণ করা যে রুক্ষ পাথুরে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠদেশে rotorcraft technology কাজ করে কিনা। প্রথম উড়ানে এটাই ছিল কপ্টারের কাজ। এই মার্স হেলিকপ্টারের তলায় লাগানো রয়েছে দুটো ক্যামেরা। এই ক্যামেরাতেই স্টিল ইমেজ বা স্থির চিত্র রেকর্ড হয়েছে।