Apple Watch: বিরলতম ক্যান্সার সনাক্ত করে 12 বছরের শিশুর প্রাণ বাঁচাল অ্যাপল ঘড়ি
Apple Watch Cancer: এবার অ্যাপল তার স্মার্টওয়াচের হার্ট রেট মনিটরিং ফিচারের মাধ্যমে একটি বাচ্চা মেয়ের প্রাণ বাঁচাল। বাচ্চাদের শরীরের এক বিরলতম ক্যান্সার সন্ধান করতে সাহায্য করল অ্যাপল ঘড়ি।
Rare Cancer: জিয়নকাঠির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচায় অ্যাপল ঘড়ি, এমন খবর সাম্প্রতিক অতীতে আমরা অনেক শুনেছি। অ্যাপল ওয়াচের প্রযুক্তি এমনই শক্তিশালী যে, মানুষের শরীরের সংকটজনক পরিস্থিতির আগাম আভাস জানিয়ে দিতে পারে সে। এবার অ্যাপল তার স্মার্টওয়াচের হার্ট রেট মনিটরিং ফিচারের মাধ্যমে একটি বাচ্চা মেয়ের প্রাণ বাঁচাল। বাচ্চাদের শরীরের এক বিরলতম ক্যান্সার সন্ধান করতে সাহায্য করল অ্যাপল ঘড়ি। প্রসঙ্গত, অ্যাপল ওয়াচের হার্ট রেট নোটিফিকেশন ফিচারটি রয়েছে Watch SE, Watch 7 এবং সদ্য লঞ্চ হওয়া Watch 8 এবং Watch Ultra-র মধ্যে।
বাচ্চাটির বয়স মাত্র 12 বছর। একদিন সন্ধে বেলা ইমানি মিলে নামক ওই বাচ্চাটির অ্যাপল ওয়াচ হঠাৎই অস্বাভাবিক রকমের উচ্চ হার্ট রেট দেখাতে থাকে। বিষয়টি লক্ষ্য করার পরেই মিলের মা জেসিকা কিচেন তাঁর মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ছোট্ট মেয়েটির অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে। রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়ার সময় ডাক্তাররা বাচ্চাটির অ্যাপেন্ডিক্সে একটি নিউরোএন্ডোক্রাইন আবিষ্কার করেছিলেন, যা শিশুদের মধ্যে খুবই কম দেখা যায়।
ডাক্তাররা তার পরে জানতে পারেন, মিলের শরীরের অন্যান্য অংশে সেই ক্যান্সারটি ছড়িয়ে পড়েছে। সেই শরীরের যে সব জায়গায় ক্যান্সার ছড়িয়েছে, তা অপসারণের জন্য সিএস মট চিলড্রেনস হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করানো হয় মিলের। মিলের মা কিচেন বলেন, “ওর কাছে যদি ঘড়িটা না থাকত, তাহলে আরও খারাপ কিছু ঘটতে পারত।”
চলতি মাসের শুরুতেই এমনতর আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেবার এক মহিলা ডাক্তারের কাছে পৌঁছানোর আগেই তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা তা জানিয়ে দিয়েছিল অ্যাপল ওয়াচ। 34 বছরের ওই মহিলা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম রেডিটে লিখেছিলেন যে, ক্লিনিক্যাল টেস্টের আগেই তাঁর অ্যাপল ওয়াচ প্রেগন্যান্সি ডিটেক্ট করতে সক্ষম হয়। সেই পোস্টে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, স্মার্টওয়াচটি কয়েকদিন ধরেই তাঁর স্বাভাবিক হৃদস্পন্দনের দিকে নির্দেশ করে, যার মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারে যে, অদ্ভুত কিছু একটা ঘটেছে।
রেডিটে তিনি লিখেছিলেন, “সাধারণত, বিশ্রামরত অবস্থায় আমার হৃদস্পন্দন প্রায় 57 এবং তা হঠাৎই বেড়ে 72 হয়ে যায়। বিরাট জাম্প না হলেও অন্তত তার 15 দিন আগে থেকে এই হৃদস্পন্দন দেখা গিয়েছিল আমার। তারপর আমি কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু করি।” সে সময় তাঁর মাথায় এই চিন্তারও উদ্ভব হয় যে তিনি কোভিড পজ়িটিভ হতে পারেন। কিন্তু টেস্ট করাতে গিয়ে রিপোর্ট দেখেন নেগেটিভ।
তারপরে তিনি গর্ভাবস্থার প্রথম সপ্তাহে ত্বরিত হৃদস্পন্দন সম্পর্কে অনলাইন রিপোর্টগুলি পড়েন। তাঁর কথায়, “আমি পড়াশোনা করে জানতে পারি, কখনও কখনও এটি প্রাথমিক গর্ভাবস্থার সময় ঘটে এবং নিশ্চিতভাবে অ্যাপেল ওয়াচের তাৎক্ষণিকভাবে করা পরীক্ষাটি ইতিবাচক ছিল।” “আমি জানার আগেই আমার ঘড়ি জেনে গিয়েছিল যে, আমি গর্ভবতী! আমি কখনই আমার ঘড়ি না পরে পরীক্ষা করতাম না। কারণ, পিরিয়ডের জন্য দেরি করার মতো সময় ছিল না।”