WhatsApp: খুব সাবধান! হোয়াটসঅ্যাপে এই মেসেজ পাঠালেই আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে
Do's And Don'ts: হোয়াটসঅ্যাপে কোন মেসেজ পাঠাবেন আর কোন মেসেজ পাঠাবেন না, তা জেনে রাখাটা এখন খুবই জরুরি। কারণ, সামান্য একটা ভুলেই আপনাকে হাজতবাস পর্যন্ত করতে হতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ। সারা বিশ্বের বহু মানুষ নিজেদের ভাব আদানপ্রদানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। আর ভারতেই রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের সবথেকে বেশি সংখ্যক ইউজার। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাতে ঘুমাতে যাওয়া ইস্তক, আট থেকে আশি প্রায় সকলেই আজকাল হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। আপাতদৃষ্টিতে এমন একটা জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের কোনও নিয়ম নেই। যে কেউ ব্যবহার করতে পারেন, কাজে লাগাতে পারেন একাধিক ফিচার্স, মেসেজ করতে পারেন যাকে খুশি। তবে নিরাপদ ভাবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। অজান্তেই আপনি হোয়াটসঅ্যাপে এমন কোনও মেসেজ (Message) পাঠাতে পারেন, যার ফলে জেল পর্যন্ত যেতে হতে পারে আপনাকে। শুধু মেসেজ নয়। এমন কিছু মিডিয়া ফাইলসও (Media Files) রয়েছে, যেগুলি পাঠানোর আগে আপনার কয়েক বার ভাবা উচিৎ। মাথায় রাখবেন, ডিজিটাল জমানায় সামান্য ভুলেও অনেক সময় বড়সড় বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন আপনি। তাই সতর্ক থাকতে হবে প্রতিটা মুহূর্তে, প্রতিটা পদে পদে।
হোয়াটসঅ্যাপে যথক্ষণ চেনাজানা লোকজনকে কোনও মেসেজ বা মিডিয়া ফাইল পাঠাচ্ছেন, ততক্ষণ কোনও সমস্যা নেই। ব্যক্তিগত চ্যাটের ক্ষেত্রে তা যেমন সত্যি, তেমনই আবার গ্রুপ চ্যাটের ক্ষেত্রেও। এই যেমন ধরুন, আপনার পরিবারের গ্রুপগুলো, আবার ধরুন সেই স্কুল বা কলেজের সময়কার বন্ধুদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বা অফিসের সহকর্মীদের একটা গ্রুপ – এমন একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিয়ে আমাদের এখন সারাদিন ডিল করতে হয়। এই সব গ্রুপে আপনি যে মেসেজই পাঠান না কেন, খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু সমস্যা তখনই হতে পারে, যখন আপনাকে এমন একটা গ্রুপে অ্যাড করা হল, যে গ্রুপের বেশির ভাগ সদস্যই আপনার অজানা। এমনকি অজানা সেই গ্রুপের অ্যাডমিনও। এই ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলিতে মেসেজ পাঠানোর আগে আপনাকে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে। কী মেসেজ পাঠাবেন, আর কী মেসেজ পাঠাবেন না, তা নিয়ে আপনাকে অত্যন্ত সতর্কও হতে হবে।
প্রকৃতপক্ষে, আপনি যদি কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হন, তাহলে স্পষ্টতই সেই গ্রুপে বিভিন্ন মতাদর্শ ও ধর্মের মানুষ থাকবেন। এমন পরিস্থিতিতে অনেক সময় আপনার কোনও মেসেজ বা কোনও মিডিয়া ফাইলের কারণে কোনও সদস্যের অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে। ধরুন আপনি গ্রুপে কোনো জাতপাতমূলক বা গালিগালাজ করেছেন, তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই তা যে কাউকে আঘাত করতে পারে, হতে পারে তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করল। আর এই অভিযোগ যদি পুলিশের আইটি সেলে করা হয়, তাহলে মেসেজ প্রেরক এবং গ্রুপ অ্যাডমিনকেও থানায় ডাকা হতে পারে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় যদি আপনারই যোগসাজশ থাকে, তাহলে জেলে আপনাকে যেতেই হবে।
হোয়াটসঅ্যাপে যে সব ভুল করলে আপনি বিপদের সম্মুখীন হবেন
১) হোয়াটসঅ্যাপে কাউকেই উস্কানিমূলক মেসেজ পাঠাবেন না।
২) অশ্লীল বার্তা পাঠাবেন না।
৩) ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে এমন মেসেজ পাঠাবেন না।
৪) এমন কোনও মেসেজ পাঠাবেন না, যা কাউকে আত্মহত্যা করতে উৎসাহিত করে।
৫) ভুল করেও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করবেন না।
৬) একসঙ্গে বাল্ক মেসেজ বা গুচ্ছের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ কাউকে পাঠাবেন না।
৭) একটা গ্রুপে একসঙ্গে বহু মানুষকে যোগ করবেন না।
৮) হোয়াটসঅ্যাপ সফ্টওয়্যার হ্যাক করার চেষ্টা করবেন না।
আরও পড়ুন: আপনার ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত জরুরি তথ্য চুরি করছিল এই ৬ খতরনাক অ্যাপ! সরিয়ে দিল গুগল, আর আপনি?
আরও পড়ুন: ৬ কোটি মানুষের ফোনে রয়েছে ক্ষতিকারক এই ১০ অ্যাপ, এখনই ডিলিট না করলে টাকা-পয়সা সব হারাতে পারেন!