AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Antarctica Ice Melting: প্রতিদিন প্রায় 20 বর্গ কিমি বরফ গলছে অ্যান্টার্কটিকায়, বড়সড় বিপদের আশঙ্কা ভারতেও

Antarctica Ice Melting New Study: পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে ক্রমশ গলে যাচ্ছে পৃথিবীর উত্তর মেরুর বরফ। আর এসব বরফ গলায় পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি সমুদ্রের উচ্চতা বেড়ে, অনেক দেশ তলিয়ে যাওয়ার সতর্কবার্তা আগেই দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

Antarctica Ice Melting: প্রতিদিন প্রায় 20 বর্গ কিমি বরফ গলছে অ্যান্টার্কটিকায়, বড়সড় বিপদের আশঙ্কা ভারতেও
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2023 | 1:23 PM
Share

Latest Science News: অ্যান্টার্কটিকা, যা পৃথিবীর শীতলতম স্থান। এখানকার 99 শতাংশ এলাকা বরফে (Ice) ঢাকা। কিন্তু এখন এই বরফ দ্রুত গলে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়তই বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সচেতন করে চলেছে। তারা একের পর এক গবেষণা করে ভয়াবহ প্রভাব লক্ষ করছেন। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রভাবে ক্রমশ গলে যাচ্ছে পৃথিবীর উত্তর মেরুর বরফ। আর এসব বরফ গলায় পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্টের পাশাপাশি সমুদ্রের উচ্চতা (Sea Level) বেড়ে, অনেক দেশ তলিয়ে যাওয়ার সতর্কবার্তা আগেই দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা (Scientists)। আর বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য় বিজ্ঞানীরা সর্বদাই মানব জাতিকে দায়ী মনে করেন। তবে তা খুব একটা মিথ্য়েও নয়। ন্যাশনাল স্নো অ্যান্ড আইস ডেটা সেন্টার (National Snow and Ice Data Center-NSIDC) অনুসারে, অ্যান্টার্কটিকায় 19.1 লক্ষ বর্গকিলোমিটার গলে গিয়েছে। এটি একটি নতুন রেকর্ড। এর আগে 2022-এ 19.2 লাখ বর্গ কিলোমিটার বরফ গলে (Ice Melting) গিয়েছিল।

ice meltt

বিজ্ঞানীরা বলছেন, একদিনে 20 লাখ বর্গ কিলোমিটার পর্যন্ত বরফ গলেছে। এর থেকে ভয়াবহ কিছু হতে পারে না। তিনি জানান, 2022-এর 18 ফেব্রুয়ারি থেকে 3 মার্চের মধ্যে সর্বাধিক তুষার গলে গিয়েছিল এবং চলতি বছর আগের রেকর্ডটিও ভেঙে যেতে পারে। যা পৃথিবীর জন্য় বিপজ্জনক প্রমানিত হতে পারে।

বিজ্ঞানীদের মতে, অ্যান্টার্কটিকায় বরফ গলে যাওয়ার এই ঘটনাটি খুবই অদ্ভুত। এমন ঘটনায় তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করছেন না। 1979 সাল থেকে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। গত 40 বছরের তথ্যের দিকে তাকালে দেখা যায়, 2022-এ গ্রীষ্মের মরসুমে যে হারে দ্রুত বরফ গলে গিয়েছে, তার কারণ বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি। অ্যান্টার্কটিকায় প্রতি দশকে বরফ 12-13 শতাংশ কমছে। যা অ্যান্টার্কটিকায় আগে কখনও ঘটেনি।

অ্যান্টার্কটিকার এভাবে দ্রুত বরফ গলে যাওয়া কতটা বিপজ্জনক?

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গরম বায়ুর কারণে দ্রুত বরফ গলে যাচ্ছে। চলতি বছর গরম বায়ুর তাপমাত্রা গড়ের চেয়ে 1.5 ডিগ্রি বেশি। অ্যান্টার্কটিকা পৃথিবীর শীতলতম অঞ্চল। এটি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম মহাদেশ। ইউরোপের চেয়ে 40 শতাংশ বড়। এখানে পৃথিবীর 70 শতাংশ মিষ্টি জল রয়েছে। তবে সেই মিষ্টি জলের পুরোটাই বরফ আকারে বিদ্যমান রয়েছে। অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক বরফ গলে যাওয়াকে একটি জটিল ঘটনা বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

অ্যান্টার্কটিকা 14.2 মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, অ্যান্টার্কটিকা গলে গেলে সমুদ্রের জলস্তর 200 ফুট বাড়বে। National Geographic-এক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যান্টার্কটিকা 40 মিলিয়ন বছর ধরে বরফের চাদরে ঢাকা রয়েছে। প্রায় 18 হাজার বছর আগে পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ বরফে ঢাকা ছিল, কিন্তু এখন এর মাত্র 1/10 অংশ বরফ। পৃথিবীর উষ্ণতা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে বরফ গলে যাচ্ছে এবং এর ফলে হিমবাহগুলিও দ্রুত গলতে শুরু করেছে। এ নিয়ে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা আতঙ্কিত।

অ্যান্টার্কটিকার এই বরফের চাদরে মিষ্টি জল থাকে, যা সমুদ্রের লবণাক্ততা কমায় এবং এর কারণে সমুদ্রে বসবাসকারী প্রাণীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জাতিসংঘের ধারণা, আগামী শতাব্দীর মধ্যে সমুদ্রের বরফ 25 শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যার কারণে অ্যান্টার্কটিকায় বসবাসকারী প্রাণীদেরও খাদ্য ও পানীয়ের সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

ice melttt

সমুদ্রের জলস্তর এভাবে বাড়তে থাকলে ভারতের উপর কী প্রভাব পড়বে?

বিজ্ঞানীদের মতে, অ্যান্টার্কটিকার এভাবে বরফ গলে যাওয়ার ঘটনা ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে ভারতের উপর। বন্যা গ্রাস করবে সম্পূর্ণ দেশকে। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা এবং খরার মতো দুর্যোগের কারণে 2022-এ ভারতের 87 বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এশিয়া ও তার আশেপাশে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা আন্তর্জাতিক গড় তাপমাত্রার থেকে তিনগুণ বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সমুদ্রের জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভারতের 7,500 কিলোমিটার এলাকা বন্য়ায় প্লাবিত হতে পারে।

ভারত বন্য়ার কবলে পড়লে, কৃষিজমি থেকে বাসস্থান সবকিছুই সংকটের মুখে পড়বে। নিম্ন গাঙ্গেয় অববাহিকা, দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে খুব বেশি উঁচু নয়। ফলে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে প্লাবন শুরু হলে, তার প্রভাব পড়লে দেশে কী হতে পারে, তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না।