AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Snake Ear: সাপের আবার কান হয় নাকি! মানুষের মতোই সব শুনতে পায় সাপ, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

Snakes Can Hear: আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, সাপের কান নেই। তার মানে কি সাপ শুনতে পায় না? কখনও কি মনে এমন প্রশ্ন এসেছে? সাপ যদি শুনতেই না পায়, তবে বাঁশি বাজালে বোঝে কীভাবে?

Snake Ear: সাপের আবার কান হয় নাকি! মানুষের মতোই সব শুনতে পায় সাপ, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
| Edited By: | Updated on: Feb 22, 2023 | 2:51 PM
Share

Latest Science News: আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, সাপের কান (Snake Ear) নেই। তার মানে কি সাপ শুনতে পায় না? কখনও কি মনে এমন প্রশ্ন এসেছে? সাপ যদি শুনতেই না পায়, তবে বাঁশি বাজালে বোঝে কীভাবে? হয়তো অনেকবারই আপনার মনে নাড়াচাড়া দিয়েছে এই প্রশ্নগুলি। কিন্তু বিজ্ঞানীরা (Scientists) সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর মানুষের কাছে পৌঁছতে, সাপকে নিয়ে অনেক গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু সাপের শ্রবণ ক্ষমতা নিয়ে বিজ্ঞানীরা যখন গবেষণা করলেন, তখন তার ফলাফল দেখে তারা অবাক হয়ে গেলেন। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ওরা এতটাই বেশি শুনতে পায়, যা আপনি ভাবতেও পারবেন না। যদিও এতদিন বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, সাপ (Snake) বধির নয়। তবে তাদের শ্রবণশক্তি অন্যান্য শারীরিক ইন্দ্রিয় যেমন স্বাদ এবং দৃষ্টিশক্তির চেয়ে দুর্বল। কিন্তু নতুন তথ্য়ে উঠে এসেছে অন্য় তথ্য়।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির টক্সিনোলজিস্ট ক্রিস্টিনা জেডেনেক বলেছেন, “সাপ হল দুর্বল এবং ভীতু প্রাণী। ওরা বেশিরভাগ সময় লুকিয়ে থাকে।” ক্রিস্টিনা বলেন, “সাপের কান তার শরীরের বাইরের অংশে থাকে না। ফলে বেশিরভাগ লোক মনে করেন যে, তারা বধির এবং কেবল মাটির কম্পনের মাধ্যমে জিনিসগুলি অনুভব করতে পারে। কিন্তু এমনটা নয়।”

snake ear

স্লোভেনিয়ান জাতীয় চিড়িয়াখানার (Website Of The Slovenian National  Zoo)  ওয়েবসাইট অনুসারে, সাপের বাইরের কান নেই। কিন্তু তারা কানের ভিতরের সমস্ত অঙ্গ শরীরে ধারণ করে। মানুষের কানে একটি কলুমেলা থাকে, যা চোয়ালের হাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। এটি সাপেরও রয়েছে, যা সাপকে যেকোনও কম্পন অনুভব করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, সাপের শোনার ক্ষমতা শিকারী এড়াতে কাজে লাগে। গবেষণায় 19টি বিভিন্ন প্রজাতির সাপকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর মধ্যে এমন সব সাপ রয়েছে, যারা বালি, গাছ এবং জলের উপর দিয়ে হাঁটে। ক্রিস্টিন এবং তার সহকর্মীরা 0 থেকে 450 Hz পর্যন্ত শব্দের মাধ্য়মে সাপগুলিকে পরীক্ষা করেছিলেন। অবাক ব্য়াপার হল, সাপগুলি শব্দ শুনে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দিচ্ছিল।

ডাঃ জেডেনেক বলেন, “ওমা পাইথনই (The Woma python)একমাত্র সাপ যে শব্দের কাছাকাছি যাচ্ছিল। অন্যান্য সাপ যেমন তাইপান, ব্রাউন সাপ এবং বিশেষ করে ডেথ অ্য়াডাররা এটি থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করছিল।” তিনি আরও বলেন, “আমরা খুব কম জানি যে, কীভাবে সারা বিশ্বের বেশিরভাগ প্রজাতির সাপ নিজেদের রক্ষা করে। কিন্তু গবেষণা দেখা গিয়েছে যে, শব্দ তাদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।”