ঘরে-বাইরে চরম চাপ, আজই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন জাস্টিন ট্রুডো
Justin Trudeau: চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। সম্প্রতিই একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছিল যে বিরোধী দল কনজারভেটিভের কাছে গো হারা হারতে চলেছে ট্রুডোর দল। এরপরই দলের অন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে আরও অসন্তোষ বাড়ে।
ওটায়া: ঘরে-বাইরে বিরোধের মুখে। আজই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন জাস্টিন ট্রুডো। দলের অন্দরেই তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ চরমে উঠেছে। দল ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে ইস্তফা দেওয়ার জন্য। সেই চাপের সামনে মাথা নত করেই সম্ভবত আজ ইস্তফা দিতে চলেছেন ট্রুডো। এমনটাই সূত্রের খবর। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের সঙ্গে বিরোধেরই মাশুল দিতে হচ্ছে ট্রুডো-কে?
কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এক সময়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও, বিগত কয়েক বছরে হু হু করে পতন হয়েছে তাঁর জনপ্রিয়তার। ট্রুডোর দল লিবেরাল পার্টির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ক্ষোভ চরমে। সাংসদরা প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এক মাস আগেই ট্রুডোর উপরে অসন্তোষ প্রকাশ করে অর্থমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। সম্প্রতিই একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছিল যে বিরোধী দল কনজারভেটিভের কাছে গো হারা হারতে চলেছে ট্রুডোর দল। এরপরই দলের অন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে আরও অসন্তোষ বাড়ে। আগামী বুধবার গুরুত্ব জাতীয় বৈঠক রয়েছে। তার আগেই আজ ইস্তফা দিতে পারেন ট্রুডো।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রুডো। তবে তিনি সরাসরি ইস্তফা দেবেন নাকি অন্য কোনও নেতা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর ইস্তফা দেবেন, সে সম্পর্কে জানা যায়নি।
ট্রুডো ইস্তফা দিলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন?
যদি আজই ইস্তফা দেন, তবে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বা ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিতে পারেন। এছাড়া বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলি, মন্ত্রী ফ্রানকোইস ফিলিপ, পরিবহন মন্ত্রী অনিতা আনন্দ সহ একাধিকের নাম উঠে আসছে।