HMPV Outbreak in China: শুধু জ্বরের ওষুধেরই বিক্রি বেড়েছে ১৮২ শতাংশ! মুখে অক্সিজেন মাস্ক, চিনের হাসপাতালে রোগীদের কী দশা দেখুন
China Virus Outbreak: চিনের সরকার মুখে কুলুপ আঁটলেও, বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, শহরে শহরে তোলপাড় চলছে। প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার, লাখ লাখ রোগী ভিড় করছেন হাসপাতালে। অধিকাংশ হাসপাতালেই আর বেড ফাঁকা নেই।
বেজিং: সিঁদুরে মেঘ দেখলেও গরু যেমন ভয় পায়, তেমনই অবস্থা হয়েছে সাধারণ মানুষের। আবার চেপে বসেছে ভাইরাস আতঙ্ক। ভয়ের কারণ সেই চিন। করোনা সংক্রমণের ৫ বছর পর, এখন চিনে ছড়াচ্ছে নতুন ভাইরাস, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস। করোনার হুবহু কপি এই ভাইরাসকে নিয়ে গোটা বিশ্ব আতঙ্কিত হলেও, চিন আশ্বাস দিচ্ছে যে এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে সেখানের বাস্তব চিত্র কিন্তু বলছে, আবারও মিথ্যা বলছে চিন।
দাবি করা হচ্ছে, হঠাৎ করেই চিনে বিক্রি বেড়েছে ওষুধের। কী সেই ওষুধ? সর্দি-কাশি বা ইনফ্লুয়েঞ্জা চিকিৎসা করতে যে ওষুধগুলির ব্যবহার করা হয়, তা হু হু করে বিকোচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরেই চিনে অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা ওষুধের বিক্রি বেড়েছে ১৬৪ শতাংশ। জ্বরের ওষুধের বিক্রি বেড়েছে ১৮২ শতাংশ। স্যালাইন ও ন্যাজাল স্প্রে-র চাহিদাও আকাশছোঁয়া। এই সমস্ত কিছুই ইঙ্গিত করছে, চিনে সংক্রমণ এইচএমপিভি সংক্রমণ ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে।
#BREAKING: #China🇹🇼: Causa una vez más otro desastre catastrófico para la raza humana. El país se enfrenta ahora a un nuevo brote viral del metapneumovirus humano (#HMPV) se extendió rápidamente, cinco años después de la #Covid19. pic.twitter.com/4pvZMKhFBp
— Georg Grár (@GeorgGrar) January 3, 2025
চিনের সরকার মুখে কুলুপ আঁটলেও, বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, শহরে শহরে তোলপাড় চলছে। প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য হাজার হাজার, লাখ লাখ রোগী ভিড় করছেন হাসপাতালে। অধিকাংশ হাসপাতালেই আর বেড ফাঁকা নেই। করিডরে শুইয়েই রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অনেকে হাসপাতালের বাইরে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। বহু হাসপাতাল আবার রোগীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে শুধুমাত্র পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয় বলে। শ্মশান ও কবরস্থানগুলিতেও ভিড় বাড়ছে শেষকৃত্যের জন্য।
হুবহু এই প্যাটার্নই দেখা গিয়েছিল করোনা সংক্রমণের সময়। ৫ বছর পুরনো ভয়ের স্মৃতিকেই চাঙ্গা করছে এই দৃশ্যগুলি। তারপরও চিন লাগাতার বলছে, আতঙ্কের কিছু নেই।
গ্লোবাল টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে এই বছরের শুরু থেকে অর্থাৎ ২০২৫ সালের গোড়া থেকেই চিনে শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে। সাধারণ মানুষ দ্রুত সংক্রামিত হচ্ছেন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর দরকার পড়ছে। বিগত মাসে কিছু ওষুধের বিক্রিও ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
চিনের নতুন ভাইরাস, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস মানুষের ফুসফুসে আক্রমণ করে। করোনার মতো এটিও অতি সংক্রামক। সহজ কথায় বলতে গেলে, চিনে এখন খোলা বাতাসে শ্বাস নেওয়া জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার সমান।