Climate Change: উদ্ভিদ থেকে পশু, চলতি শতকেই বিলুপ্ত হবে প্রতি 10 প্রজাতির মধ্যে এক প্রজাতি
Global Warming: সম্প্রতি 70 জন বিজ্ঞানীর একটি দল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা করেছেন। আর গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, এই শতাব্দীর শেষে পৃথিবীতে বিদ্যমান গাছ ও পশুর প্রতি 10টি প্রজাতির (10 Species) মধ্যে একটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
Global Warming: জলবায়ু পরিবর্তনের (Climate Change) একের পর এক প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে পৃথিবীতে। দিনের পর দিন যত গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন যত বাড়বে, ততই তার পরিণতি খারাপ হবে। সম্প্রতি 70 জন বিজ্ঞানীর একটি দল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে বৈজ্ঞানিক পর্যালোচনা করেছেন। আর গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, এই শতাব্দীর শেষে পৃথিবীতে বিদ্যমান গাছ ও পশুর প্রতি 10টি প্রজাতির (10 Species) মধ্যে একটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। জাতিসংঘের জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে (UN Biodiversity Conference) উপস্থাপিত নতুন গবেষণা বলছে, “এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি সামাল দিতে সারা বিশ্বের তিন হাজার বিজ্ঞানী নিজ নিজ দেশের সরকারের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।”
এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Helsinki) ডক্টর জিওভানি স্ট্রোনা (Dr. Giovanni Strona) বলেন যে, “গবেষকরা একটি সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে পৃথিবীর একটি সিমুলেশন মডেল তৈরি করেছেন। এই সিমুলেশন মডেলটি কৃত্রিম প্রজাতির সাথে একটি ভার্চুয়াল জগতে রূপান্তরিত হয়েছিল। এরপর তাদের উপর বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখা যায়।”
কী এই সিমুলেশন মডেল?
বিজ্ঞানীরা কৃত্রিমভাবে একটি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড তৈরি করেছেন। সেখানে পৃথিবীর পরিবেশ, আবহাওয়া সবই রাখা হয়েছে। এবার ওই পরিবেশে যথেচ্ছভাবে মাটির ব্যবহার, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের বিষয়গুলি বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করেছেন। সেখানে পৃথিবীতে থাকা নানা প্রজাতির জীব ও উদ্ভিদও রাখা হয়েছে। তারা ওই পরিবেশ ও আবহাওয়ায় বেঁচে থাকছে না নিশ্চিহ্ন হচ্ছে, সেটি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আর এর মাধ্য়মেই যে ফলাফল সামনে এসেছে, তাতে বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
27 শতাংশ প্রাণী এবং গাছপালার প্রজাতি মারা যেতে পারে:
ডক্টর জিওভানি স্ট্রোনা জানাচ্ছেন, “সিমুলেশনে আমরা দেখেছি যে, 27 শতাংশ প্রজাতি সবচেয়ে খারাপভাবে মারা যেতে পারে। প্রভাব মাঝারি হলেও, 13 শতাংশ প্রাণী এবং গাছপালা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এটিকে আমরা একটি অনন্য গবেষণা হিসেবে দেখছি।”
এখানে সেই সব বিপন্ন প্রজাতির কিছু উদাহরণ দেওয়া হল, যেগুলি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে গবেষকরা মনে করেন:
আমুর চিতাবাঘ (Amur Leopard): সম্পূর্ণ বন্য জগতে আনুমানিক 100টি আমুর চিতাবাঘ অবশিষ্ট রয়েছে। উত্তর-পূর্ব চীন এবং পূর্ব রাশিয়ার বনাঞ্চলে এদের সন্ধান পাওয়া যায়।
জাভান গন্ডার (Javan Rhino): বন্য জগতে আনুমানিক 72-টি অবশিষ্ট রয়েছে। জাভান গন্ডার বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে একটি। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে তাদের পাওয়া যায়।
সাওলা (Saola): সাওলা একটি হরিণ, যা শুধুমাত্র লাওস এবং ভিয়েতনামের আনামাইট পর্বতমালায় পাওয়া যায়। এটিকে বর্তমানে বিপন্ন প্রজাতি হিসেবেই ধরা যেতে পারে। এটি বন্য জগতে আনুমানিক 100-টিরও কম রয়েছে।
ভাকুইটা (Vaquita): ভাকুইটা বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণী। এর আনুমানিক 10টি বন্য জগতে বেঁচে আছে। এদের দেখা মেক্সিকো এর ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরে পাওয়া যায়।
সুমাত্রান হাতি (Sumatran Elephant): ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপেই এই সুমাত্রান হাতির দেখা মেলে। সুমাত্রান হাতি একটি বিপন্ন প্রজাতির হাতি। 2,800 টিরও কম সুমাত্রান হাতি এখনও বন্য অঞ্চলে বসবাস করছে বলে মনে করা হয়।