Ancient Flip Flop: খালি পায়ে নয়! মধ্যপ্রস্তর যুগেও মানুষ ফ্লিপ ফ্লপ পরেই হাঁটত, আশ্চর্যজনক আবিষ্কার

এই আবিষ্কারে জড়িত গবেষকদের একজন হলেন উইটস ইভোল্যুশনারি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের ডক্টর বার্নহার্ড জিপফেল। বলছেন, "নতুন প্রমাণ থেকে এটুকু বোঝা গিয়েছে যে, সেই সময় মানুষজন সমু্দ্র সৈকতে হাঁটার জন্যও জুতো পরে থাকত।" ইকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরি ইকোনাস জার্নালে এই নতুন তত্ত্বটি খুব সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, জীবাশ্ম ট্র্যাক করা এবং পথের বিশ্লেষণ করার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

Ancient Flip Flop: খালি পায়ে নয়! মধ্যপ্রস্তর যুগেও মানুষ ফ্লিপ ফ্লপ পরেই হাঁটত, আশ্চর্যজনক আবিষ্কার
দেড় লাখ বছর আগেও মানুষের পায়ে থাকত জুতো।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2023 | 11:09 PM

প্রাচীন মানব সভ্যতার একটি আশ্চর্যজনক ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। নতুন একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, মধ্য প্রস্তর যুগে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় 75 হাজার বা দেড় লাখ বছর আগে মানুষের পায়ে থাকত জুতো। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। মধ্য প্রস্তর যুগে মানুষ মোটেই খালি পায়ে হাঁটত না। আর এই আবিষ্কার যা পরিষ্কার করে দিচ্ছে, তা হল সে সময় বোধ, জ্ঞান এবং আচরণের দিক থেকে অনেকটাই ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল মানুষ। মধ্যপ্রস্তর যুগ সম্পর্কে এরকম ধারণা কিন্তু আগে ছিল না। আগেই গবেষণায় জানা গিয়েছিল, ইউরোপের সবথেকে পুরনো জুতোর বয়স 6,000 বছর। সেটাই আবার ইউরোপের ক্ষেত্রে বিশ্বাস করা হত, সেখানে 2000 বছর আগেও মানুষ জুতো পরত না।

তবে সাম্প্রতিকতম আবিষ্কার দক্ষিণ আফ্রিকা সম্পর্কে প্রচলিত তত্ত্ব সম্পূর্ণ ভাবে বদলে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ উপকূলে পাওয়া তিনটি প্যালিওসারফেস (খুব প্রাচীন পৃষ্ঠ) থেকে পাওয়া জীবাশ্ম এক্কেবারে ভিন্ন গল্প বলছে। এই আবিষ্কারে জড়িত গবেষকদের একজন হলেন উইটস ইভোল্যুশনারি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের ডক্টর বার্নহার্ড জিপফেল। বলছেন, “নতুন প্রমাণ থেকে এটুকু বোঝা গিয়েছে যে, সেই সময় মানুষজন সমু্দ্র সৈকতে হাঁটার জন্যও জুতো পরে থাকত।” ইকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরি ইকোনাস জার্নালে এই নতুন তত্ত্বটি খুব সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, জীবাশ্ম ট্র্যাক করা এবং পথের বিশ্লেষণ করার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।

আঙুলের কোনও ছাপ নেই

ডক্টর জিপফেল বলছেন, “এর আগে আমাদের সকলেরই ধারণা ছিল, অভ্যাসগত কারণে মানুষ খালি পায়ে চলাফেরা করত। কিন্তু একথাও মনে রাখতে হবে, সে সময় দক্ষিণ কেপ উপকূলের শিলাগুলিও খুব তীক্ষ্ণ ছিল। তাই, মানুষ তাঁদের পা সুরক্ষিত রাখতে কিছু পরত। জুতো না পরলে সেই সময় মানুষের জন্য চলাফেরা করা মারাত্মক হতে পারত।”

জিপফেল এবং তার সহযোগী গবেষকরা সম্ভাব্য জীবাশ্ম ট্র্যাকগুলি নিয়ে গবেষণা করেছেন, যা মানুষের পূর্বপুরুষরা তৈরি করেছিলেন। এক্কেবারে আজকের জুতোর মতো সেগুলি না হলেও তাদের পা সুরক্ষিত করতে পারত। আর সেই কারণেই তাঁদের যাতায়াতের পথে কোনও আঙুলের ছাপও দেখা যায়নি।

জুতোর চল কি সেই সময় থেকেই?

প্রাচীন কালে মানুষ ঠিক কী ধরনের জুতো পরতেন, তার সুনির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত নেই। কারণ, চামড়া ও উদ্ভিদের উপকরণ মাটিতে পচে যেত। এই ধরনের ট্র্যাকের রেকর্ড বিরল। মাত্র চারটি সাইট 30 হাজার বছরেরও বেশি পুরনো বলে অনুমান করা হয়, যার সবকটিই পশ্চিম ইউরোপের। জিপফেল বিশ্বাস করেন যে, প্রাচীনকালে মানুষ ফ্লিপ ফ্লপের মতোই জুতো পরতেন!