Ladakh: অ্যাস্ট্রো ট্যুরিজ়মকে আরও জনপ্রিয় করতে বিরাট পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। ভারতের প্রথম রাতের আকাশের অভয়ারণ্য প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে লাদাখে। দেশের এই অঞ্চলে এসে হাই-অল্টিটিউড টেলিস্কোপ নিয়ে বিদেশি গবেষকদের আকৃষ্ট করতে তৈরি করা হচ্ছে এই নাইট স্কাই স্যাংচুয়ারি। চাংথাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের অংশ হিসেবে লাদাখে হ্যানলে প্রস্তাবিত ডার্ক স্কাই রিজার্ভ স্থাপন করবে ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ঘোষণা করেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই লাদাখের হ্যানলে গ্রামে রাতের আকাশের অভয়ারণ্যটি স্থাপিত হবে।
মউ সাক্ষরিত
অপটিক্যাল, ইনফ্রারেড এবং গামা-রে টেলিস্কোপের জন্য বিশ্বের সবথেকে উঁচুতে অবস্থিত সাইটগুলির মধ্যে একটি হতে চলেছে লাদাখের এই নাইট স্কাই স্যাংচুয়ারি। কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ডক্টর জিতেন্দ্র সিং এবং লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর আর কে মাথুরের মধ্যে বৈঠকের পরই এই ঘোষণাটি করা হয়েছে। ডার্ক স্পেস রিজার্ভ চালু করার জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন, লাদাখ অটোনোমাস হিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (LAHDC) লেহ অ্যান্ড ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (IIA) এর মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্থানীয় পর্যটন ও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে এই ফেসিলিটির কার্যক্রমও থাকবে।
জনমানবহীন অঞ্চলে পশুদের সঙ্গে রাতের আকাশ দেখা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডক্টর জিতেন্দ্র সিং বলছেন, “সমস্ত স্টেকহোল্ডাররা যৌথ ভাবে অবাঞ্ছিত আলোক দূষণ এবং আলোকসজ্জা থেকে রাতের আকাশ সংরক্ষণের জন্য কাজ করবে, যা বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ ও প্রাকৃতিক আকাশের অবস্থার জন্য একটি মারাত্মক হুমকি।” প্রসঙ্গত, হ্যানলে অঞ্চলটি লাদাখের ঠান্ডা মরুভূমি অঞ্চলে অবস্থিত। হ্যানলে এমনই একটি জায়গা যেখানে শুষ্ক আবহাওয়ার সঙ্গে সারা বছরই পরিষ্কার আকাশ দেখা যায়, জনমানবহীন অঞ্চলটিতে মানুষের ঝামেলাও নেই।
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই চেন্নাইয়ের সেন্ট্রাল লেদার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী এবং আধিকারিকদের উচ্চ-স্তরের প্রতিনিধি দল CLRI-এর একটি আঞ্চলিক শাখা স্থাপনের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে এই বছরের শেষ নাগাদ লাদাখ সফর করবে। এই ইউনিয়ন টেরিটরিতে চামড়ার গবেষণা ও শিল্পের জন্য এবং সর্বোপরি পশুর চামড়া থেকে প্রাপ্ত পণ্যের জৈব-অর্থনীতি প্রচারের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাণী রয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, লাদাখের চারথাংয়ে ভেড়া এবং ইয়াক ছাড়াও প্রায় 4 লক্ষেরও বেশি প্রাণী রয়েছে। এখানে প্রধানত পশমিনা ছাগলের প্রতিপত্তি বেশি। এদিকে তিনি বিখ্যাত পশমিনা ছাগলের রোগের চিকিৎসার্থে লেহ এবং কার্গিলে দুটি করে চারটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করার জন্য কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের প্রশংসা করেন।