Smallest Dinosaur: বিড়ালের আকারের ডাইনোসরের কঙ্কাল উদ্ধার, পিঠে ধারালো বর্ম, আর্জেন্টিনায় চাঞ্চল্য

Dinosaur Video: আর্জেন্তিনায় একটি বিশেষ প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান মিলেছে, যাদের পিঠে ধারালো বর্ম রয়েছে এবং তারা দু'পায়ে হাঁটে। তাদের আকার কিছুটা বিড়ালের মতো।

Smallest Dinosaur: বিড়ালের আকারের ডাইনোসরের কঙ্কাল উদ্ধার, পিঠে ধারালো বর্ম, আর্জেন্টিনায় চাঞ্চল্য
জাকাপিল কানিউকুরা: ধারালো বর্ম বিশিষ্ট দুপেয়ে তৃণভোজী ডাইনোসর।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 4:04 AM

ডাইনোসর সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই অল্প বিস্তর পরিচিত। তাহলে  আপনি নিশ্চয়ই স্টেগোসরাসের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু এবার স্টেগোসরাসের মতোই এক অদ্ভুত ধরনের ডাইনোসরের সন্ধান মিলল। দৈত্যাকার এই ডাইনোসরগুলির পিঠে রয়েছে ধারালো অংশ এবং লম্বা সূক্ষ্ম লেজ রয়েছে। সম্প্রতি গবেষকরা আর্জেন্টিনার রিও নিগ্রো প্রদেশের একটি বাঁধের কাছে খনন করে স্টেগোসরাসের পরিবারের একটি ডাইনোসরের আংশিক কঙ্কাল আবিষ্কার করেছিলেন। জীবাশ্মগুলি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে, স্টেগোসরাসের মতো এই ডাইনোসরেরও শরীরে ধারালো কাঁটা রয়েছে।

পরবর্তীতে এই বিশেষ প্রজাতির ডাইনোসরের নাম রাখা হয় জাকাপিল কানিউকুরা। তবে এরা স্টেগোসরাসের অনেক আগে থেকে বেঁচে ছিল এবং এদের অনেক স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য ছিল যা মূল স্টেগোসরাস থেকে বেশ আলাদা। উদাহরণস্বরূপ, জাকাপিল ছিল থাইরোফোরার অন্তর্গত প্রথম ডাইনোসর যারা দুই পায়ে হাঁটত, বাকি থাইরোফোরা চার পায়ে হাঁটত।

ডাইনোসরের ওজন ছিল মাত্র 7 থেকে 8 কেজি

এই দৈত্যাকার ডাইনোসরগুলির পিঠের জাকাপিলটি ছিল মাত্র 5 ফুট লম্বা এবং ওজন ছিল 7 থেকে 8 কেজি। যার মানে খুব কমই, একটি বিড়ালের মতোই আকার ছিল এদের। কঙ্কাল ছাড়াও গবেষকরা 15টি ‘পাতার আকৃতির’ দাঁতও আবিষ্কার করেছেন, যা অনেকটাই ইগুয়ানা দাঁতের মতো। এই দাঁতগুলি ইঙ্গিত করে যে সরু চোয়াল-সহ এই ছোট ডাইনোসরগুলি তৃণভোজী ছিল।

দক্ষিণ গোলার্ধে আবিষ্কৃত এদের কঙ্কাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ

উল্লেখযোগ্য ভাবে, দক্ষিণ গোলার্ধে একটি ডাইনোসরের কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। এর আগে স্টেগোসরাস এবং অ্যানকিলোসরের মতো ধারালো বর্মের এই সমস্ত ডাইনোসরের জীবাশ্ম শুধুমাত্র উত্তর গোলার্ধে পাওয়া গিয়েছিস। এখন, আর্জেন্টিনা থেকে জাকাপিলের বিস্ময়কর আবিষ্কার থাইরোফোরান ডাইনোসরের অঞ্চল সম্পর্কে সমস্ত অনুমান পাল্টে দিয়েছে। গবেষণাটি গত সপ্তাহে সায়েন্টিফিক রিপোর্টস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।