লালচে-গোলাপি আভার এই ছবি মঙ্গলগ্রহের নয়! কীসের ছবি শেয়ার করল নাসা?
মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসার তরফে জানানো হয়েছে এই ছবি মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের নয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মরুভূমি আফ্রিকার সাহারার।
সাহার- বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মরুভূমি মহাকাশ থেকে কেমন দেখতে লাগে? সেই দৃশ্যই এবার প্রকাশ্যে এনেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। তাদের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজে সম্প্রতি একটি ছবি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানেই দেখা গিয়েছে যে, মহাকাশ থেকে সাহারা মরুভূমি দেখতে ঠিক কেমন লাগে। জানা গিয়েছে, নভশ্চর Shane Kimbrough আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে এই ছবিটি তুলেছেন। তবে নির্দিষ্ট করে বলে না দিলে কিন্তু বোঝা মুশকিল যে এই ছবি সাহারা মরুভূমির, নাকি মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের। কারণ সমস্ত ছবি জুড়ে রয়েছে একটা লালচে-গোলাপি আভা, যেমনটা দেখা যায় লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশে।
ইনস্টাগ্রামে এই ছবি শেয়ার করে নাসার তরফে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘Too hot to handle’। নাসার তরফেই নেটিজ়েনদের উদ্দেশ্যে খোলসা করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা যেন এই ছবি মঙ্গলগ্রহের ভেবে গুলিয়ে না ফেলেন। বরং এই ছবি পৃথিবীরই, আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির। তবে নাসার তরফে কেবলমাত্র এই ছবিই শেয়ার করা হয়নি, সাহারা মরুভূমির ব্যাপারে নতুন তথ্যও প্রদান করেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি। স্যাটেলাইটের ডেটা থেকে জানা গিয়েছে, হাওয়া এবং আবহাওয়ার অন্যান্য পদ্ধতির মাধ্যমে সাহারা মরুভূমি থেকে প্রতি বছর গড়ে ১৮২ মিলিয়ন টন ধুলো এবং বালি বহন করে নিয়ে যাওয়া হয়। সাহারা মরুভূমি থেকে প্রায় ১৬০০ মাইল দূরে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পড়ে এই ধুলোবালি। নাসা জানিয়েছে, বছরে গড়ে যে পরিমাণ বালি সাহারা মরুভূমি থেকে গিয়ে অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে পড়ে তার পরিমাণ, ৬,৮৯,২৯০টি সেমি ট্রাক ভর্তি বালির পরিমাণের সমান।
দেখুন নাসার শেয়ার করা সেই ছবি
View this post on Instagram
নাসা জানিয়েছে, সাহারা মরুভূমির এই বালি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে বিচ তৈরিতে এবং অ্যামাজনে মাটি উর্বর করতে সাহায্য করে। উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকার বাতাসেও প্রভাব ফেলে এই বালি এবং ধুলো। এর পাশাপাশি কোরাল রিফের অবনমন এবং ঘূর্ণিঝড় হারিকেন দমনেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- Perseid meteor shower 2021: কখন এবং কোথায় দেখা যাবে এই উল্কাবৃষ্টি?