মহাশূন্যে নতুন রহস্যের পর্দা খুলছেন বিজ্ঞানীরা, উল্কাপিণ্ডের মধ্যে জলের সন্ধান

Water On Meteorite: অনেকদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা উল্কাপিণ্ডে জলের সন্ধান করছিলেন। এবার তাও পাওয়া গিয়েছে। প্ল্যানেটারি সায়েন্স জার্নালে (Planetary Science Journal) এই আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক আনিসিয়া অ্যারেডোন্ডো এই সম্পর্কিত তথ্য দিয়েছেন।

মহাশূন্যে নতুন রহস্যের পর্দা খুলছেন বিজ্ঞানীরা, উল্কাপিণ্ডের মধ্যে জলের সন্ধান
Follow Us:
| Updated on: Feb 19, 2024 | 11:03 AM

মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহে জলের সন্ধান করতে করতে অবশেষে বিরাট এক সাফল্য পেলেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা প্রথমবার একটি গ্রহাণুর পৃষ্ঠে জলের অনু খুঁজে পেয়েছেন। গ্রহাণুগুলি হল গ্রহের গঠন প্রক্রিয়ার অবশিষ্টাংশ। গ্রহাণু হল ছোট পাথুরে বস্তু, যা সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। যদিও গ্রহাণুগুলি গ্রহের মতো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে, তবে তারা গ্রহের তুলনায় অনেক ছোট হয়। তবে অনেকদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা উল্কাপিণ্ডে জলের সন্ধান করছিলেন। এবার তাও পাওয়া গিয়েছে। প্ল্যানেটারি সায়েন্স জার্নালে (Planetary Science Journal) এই আবিষ্কারকে কেন্দ্র করে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

দু’টি উল্কাপিণ্ডে জল পাওয়া গিয়েছে…

এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক আনিসিয়া অ্যারেডোন্ডো এই সম্পর্কিত তথ্য দিয়েছেন। সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মতে, শুষ্ক বা সিলিকেট গ্রহাণু সূর্যের কাছাকাছি তৈরি হয়। বরফের মতো কিছু পদার্থ একত্রিত হয়ে দূরের গ্রহাণু তৈরি করে। ফলে এটাও একটা কারণ হতে পারে, সেখানে জলের সন্ধান পাওয়ার। তবে এই জলের অনু কোথা থেকে এল,তা নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করা হচ্ছে। অ্যারেডোন্ডো বলেন, “আমরা দু’টি উল্কাপিণ্ডে এমন একটি বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করেছি, যা থেকে স্পষ্টভাবে জলের অনুগুলিকে খুঁজে বের করা গিয়েছে। আমরা আমাদের গবেষণার উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্তে পৌছিয়েছি।”

পৃথিবীর বাইরে ভিন্ গ্রহে কি প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে ? দুনিয়া জুড়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। আর 1998 সালে মরক্কোয় যখন একটি উল্কা পড়েছিল, তখনও সেটিকে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলেছিল। সেটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছিল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস ’ পত্রিকায়। মরক্কোর সেই উল্কাতেও জলের অণু পাওয়া গিয়েছিল। সেই সঙ্গে ছিল অ্যামাইনো অ্যাসিডের অণুও। ওই গবেষণা পত্রে জানানো হয়েছিল , পৃথিবীর বাইরেও জল থাকতে পারে। তারপর থেকে থেমে যায়নি গবেষণা। মহাকাশে ঘুরে বেরানো বিভিন্ন উল্কাপিণ্ডে চলতে থাকে জলের সন্ধান। ফলে অবশেষে দু’টি উল্কাপিণ্ডে জলের অনু সন্ধান করে সাফল্য পেলেন বিজ্ঞানীরা।