টিকটক, উইচ্যাট- সহ মোট ৫৯টি চিনা অ্যাপ স্থায়ী ভাবে অর্থাৎ বরাবরের মতো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জুন মাসেই এই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধা করা পহয়েছিল। তবে সেই সময় এইসব চিনা অ্যাপ স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানায়নি সরকার। তবে এবার স্পষ্ট করেই সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই ৫৯টি চিনা অ্যাপ ভারতে চিরকালের জন্য নিষিদ্ধ করা হচ্ছে।
গত বছর জুন মাসে এইসব অ্যাপ নিষিদ্ধ করার পরই নির্দিষ্ট সংস্থাগুলির কাছে জবাব তলব করেছিল সরকার। ব্যবহারকারীদের থেকে এই অ্যাপের সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলি কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করে, সেই তথ্য কী কাজে লাগে— এইসব জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। নির্দিষ্ট কোম্পানিগুলি যে জবাব দিয়েছে তার ফলে সরকার বিশেষ সন্তুষ্ট হয়নি। আর সেই কারণেই টিকটক, উইচ্যাট সমেত মোট ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে এই প্রসঙ্গে একটি নোটিস জারি করেছে ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক।
উল্লেখ্য, গত বছর ২০০-র বেশি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার। সেই তালিকায় ছিল জনপ্রিয় গেমিং অ্যাপ পাবজি। প্রাথমিক ভাবে অবশ্য এই অ্যাপ নিষিদ্ধ হওয়ার পর শোনা গিয়েছিল যে ভারতের জন্য পাবজি ইন্ডিয়া গেমিং অ্যাপ লঞ্চ করা হবে। যদিও সেই গেম তৈরি হয়ে গেলেও রিলিজের ছাড়পত্র পায়নি সংস্থা।
সূত্রের খবর, যে সমস্ত অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ইউজার বা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের নয়ছয়। অ্যানড্রয়েড এবং আইওএস দুই ভারসানের ক্ষেত্রেই বেশ কিছু অ্যাপের মাধ্যমে ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছিল বেআইনি ভাবে। সেইজন্যই একগুচ্ছ চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার।