ভারতে বরাবরের মতো নিষিদ্ধ হয়েছে চিনা অ্যাপ টিকটক। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে এই অ্যাপের মূল কোম্পানি অর্থাৎ ByteDance। চিনের এই সংস্থা এবার স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে ভারতে টিকটক বরাবরের মতো নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে প্রভাবে পড়বে টিকটক ইন্ডিয়ার কর্মক্ষেত্রে। টিকটকের মালিক কোম্পানি ByteDance সূত্রে এটা জানা গিয়েছে, ওয়ার্কফোর্স অর্থাৎ কর্মক্ষমতায় হ্রাস টানা হবে। পরোক্ষে যা কর্মী ছাঁটাইয়েরই ইঙ্গিত। ByteDance ইতিমধ্যেই টিকটক ইন্ডিয়ায় কর্মরত কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছে যে তারা টিম ছোট করে ফেলতে চায়। গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদেরই খালি বহাল রাখা হবে তাদের দায়িত্বে।
মূলত সুরক্ষার প্রসঙ্গে সওয়াল ওঠার পর গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের জুন মাসেই টিকটক- সহ প্রায় ২০০টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়নি যে ব্যান বা নিষিদ্ধকরণ স্থায়ী নাকি অস্থায়ী। তবে গতকাল কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে টিকটক- সহ মোট ৫৯টি চিনা অ্যাপ বরাবরের মতো নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে। এরপরই কর্মী ছাঁটাই করে টিম বা দল ছোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকটকের মূল সংস্থা ByteDance। ইতিমধ্যেই কর্মীদের নোটিসও পাঠিয়ে দিয়েছে টিকটক ইন্ডিয়া। সেখানে এটাও বলা হয়েছে যে, কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কবে টিকটক ভারতে ফিরবে— সব নিয়েই রয়েছে অনিশ্চয়তা।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে চিনে লাল ফৌজের সংঘর্ষের পর থেকেই অশান্ত হয়েছিল পরিবেশ। দু’দেশের সম্পর্কেও এই সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে। এই ঘটনার পরই একাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ভারত। সেই তালিকায় ছিল টিকটক। এবার স্থায়ী ভাবে টিকটক ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ায় কোপ পড়তে চলেছে সংস্থার কর্মীদের উপর। অনুমান করা হচ্ছে, সম্ভবত বরাবরের মতোই ছাঁটাই করা হবে কিছু কর্মীকে, কারণ ভারতে টিকটকের ভবিষ্যত এখন সত্যিই অনিশ্চিত।