টুইটারে আর ‘Tweet’ করতে পারবেন না! তার পরিবর্তে আসছে ‘Post’, ব্যবহারকারীদের তীব্র ক্ষোভ
Post Replaces Tweet: 'টুইট' বাটনের পরিবর্তে সেখানে 'পোস্ট' নামক একটি নতুন বাটন দেখা যাচ্ছে সেখানে। রিব্র্যান্ডিংয়ের পর থেকে এই প্রশ্নটিই আরও বেশি করে উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি এখন থেকে 'টুইট'গুলিকে 'পোস্ট' বলা হবে?

Tweet And Post: পুরনো চামড়া খুলে ফেলে এক্কেবারে ভোল বদলে নতুন রূপে সাজতে পুরোদস্তুর তৈরি ইলন মাস্কের Twitter। ইতিমধ্যেই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটির ‘X’ বিব্র্যান্ডিং নিয়ে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইলন মাস্ক দাবি করছেন, তাতে তার প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের থেকে অনেকখানিই বেড়েছে। টুইটারের সমগ্র প্ল্যাটফর্ম-জুড়েই দৃশ্যমান হয়েছে ‘X’ লোগোটি। টুইটার এখন যেহেতু তার ট্রানজ়িশন পর্যায়ে রয়েছে, একাধিক পরিবর্তনই করা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মটিতে। তার মধ্যেই অন্যতম আর একটি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা লক্ষ্য করেছেন। সেটি হল, ‘টুইট’ বাটনের পরিবর্তে সেখানে ‘পোস্ট’ নামক একটি নতুন বাটন দেখা যাচ্ছে সেখানে। রিব্র্যান্ডিংয়ের পর থেকে এই প্রশ্নটিই আরও বেশি করে উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি এখন থেকে ‘টুইট’গুলিকে ‘পোস্ট’ বলা হবে?
এখনও পর্যন্ত এই পরিবর্তনটি দেখা গিয়েছে X ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেই। তবে X অ্যাপেও এই পরিবর্তন শীঘ্রই দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই মোবাইল অ্যাপ থেকে টুইটার বা এক্স ব্যবহার করছেন, এমন অনেক ব্যবহারকারীই নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছেন। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত মোবাইল অ্যাপে এই ‘টুইট’ বদলে ‘পোস্ট’ হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা আরও বেশি করে টুইট করে নিতে চাইছেন।
তবে, এক ব্যবহারকারী আবার জানিয়েছেন এই পরিবর্তনটি সাময়িকের জন্য। তাঁর দাবি, এক্স ওয়েবসাইটে ‘টুইট’ বদলে ‘পোস্ট’ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তা আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। অর্থাৎ তাঁর দাবি অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা আবার টুইটই করতে পারছেন। আর একটা বিষয়ও না বললেই নয়, যা ব্যবহারকারীদের ধর্তব্যের বিষয় হয়ে উঠেছে। তা হল, টুইট শব্দটি ইতিহাস হয়ে গেলে এক অক্ষরের ‘X’ নামের সঙ্গে তা কোনও দিক থেকেই ভাল ভাবে যায় না।
2023 সালের জুন মাসেই টুইটার তার ‘X’ রিব্র্যান্ডিংয়ের ঘোষণা করেছিল। মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটিকে সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধনীর বাইরে রাখতে কোম্পানির স্ট্র্যাটেজিই হল এখন টুইটারকে WeChat এর মতোই অন্যান্য বিভিন্ন কাজে লাগানো। ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, X তার ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন রেঞ্জের প্রোডাক্ট ও ফিচার অফার করতে চলেছে। সেই তালিকায় রয়েছে, ই-কমার্স, গেমিং, স্ট্রিমিং এবং এডুকেশন। যদিও এই রিব্র্যান্ডিং ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। এই পদক্ষেপের যৌক্তিকতা এবং বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
