Coronavirus New Subvariant: মুখ ঢাকছে সিঙ্গাপুর, ফিরছে কোভিড আতঙ্ক?
Covid: ভারতে কোভিডের আরেকটা ঢেউ আসছে। এরকম কোনও সতর্কতা এখনও পর্যন্ত নেই। তবে সামান্য দূরের দেশ সিঙ্গাপুরে যে ভাবে রোগ বাড়ছে। তাতে জুনেই ওদেশে ফের কোভিডের ওয়েভ আছড়ে পড়তে চলেছে বলে চিকিত্সকরা মনে করছেন। আর সিঙ্গাপুর বিপদে পড়লে ভারতেও কিন্তু বিপদ ঘনিয়ে ওঠার আশঙ্কা।
কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ফ্লার্ট তো ঘরে ঢুকে বসে আছে। ফ্লার্ট আসলে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট। আর এর সংক্রমণ ক্ষমতাও প্রবল। এই মুহূর্তে সারা দেশে ফ্লার্ট সংক্রমণে ১ নম্বরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। আর ২ নম্বরে বাংলা। ভাইরাসের জিন পরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে ভারতে যত নতুন কোভিড কেস ধরা পড়ছে তার ৫০ শতাংশের জন্য দায়ী এই ফ্লার্ট। এখনও পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৩০০ জনের শরীরে ফ্লার্ট ধরা পড়েছে। তার মধ্যে প্রায় ১৫০ সংক্রমণ মহারাষ্ট্রে। এরপরই বাংলায় ৩৬ জন কোভিড রোগীর দেহে নতুন চেহারার এই ভাইরাস মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন বিভিন্ন দেশে আবার বাড়তে শুরু করে দিয়েছে কোভিড সংক্রমণ। যার জেরে জুন মাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে চলে আসতে পারে আরও একটা ওয়েভ।
ভারতে কোভিডের আরেকটা ঢেউ আসছে। এরকম কোনও সতর্কতা এখনও পর্যন্ত নেই। তবে সামান্য দূরের দেশ সিঙ্গাপুরে যে ভাবে রোগ বাড়ছে। তাতে জুনেই ওদেশে ফের কোভিডের ওয়েভ আছড়ে পড়তে চলেছে বলে চিকিত্সকরা মনে করছেন। আর সিঙ্গাপুর বিপদে পড়লে ভারতেও কিন্তু বিপদ ঘনিয়ে ওঠার আশঙ্কা। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে তাদের দেশে ১ সপ্তাহের মধ্যে কোভিড রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। ১৩ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ২৬ হাজার। আর এর মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ রোগীই ফ্লার্টের শিকার। সিঙ্গাপুর সরকার এখন স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছে। একই সঙ্গে রাস্তায় বেরোলে মাস্ক ম্যান্ডেটরি করে দেওয়া হয়েছে। সবাইকে টিকার বুস্টার ডোজ নিতে বলা হয়েছে। এপর্যন্ত শুনে যদি মনে করেন ভাইরাসের নয়া প্রজাতির সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও মারণ ক্ষমতা তেমন নেই। সিঙ্গাপুরের কথাই যদি বলি তাহলে ওদেশে কোভিড নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রায় ২৫০ জন। গত ১০ দিনে আমেরিকায় ১৩ হাজার মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের প্রায় ৯৯ শতাংশই ফ্লার্টের শিকার।
চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াতেও দ্রুত ছড়াচ্ছে কোভিডের এই নতুন ভ্যারিয়ান্ট। ফলে আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। আর যেটা বলব ফ্লার্টের উপসর্গ চিনবেন কী করে। গলা ব্যথা। হাঁচি। কাশি। হালকা জ্বর। গায়ে হালকা লালচে দাগ। এমনকি ঘনঘন ক্লান্ত বোধ করলেও ডাক্তারের কাছে যান। গরমের জন্য এসব হচ্ছে ভেবে অবহেলা করবেন না।